ঢাকার কেরানীগঞ্জে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা মামলার মূল আসামীকে বান্দরবন থেকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর নাম মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪৫)। বান্দরবন জেলার রংছড়ি থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী জাহাঙ্গীর আলম আদালতে স্ত্রী হত্যার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি মামলার আসামী বান্দরবনে আত্মগোপন করে আছে। গত ৪ এপ্রিল আমরা বান্দরবনের রংছড়ি থানায় যাই। প্রযুক্তির ব্যবহার করে ও বান্দরবন জেলা গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতা নিয়ে আমরা আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হই।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী শাহীনুর আক্তারকে গলা কেটে নির্মম ভাবে খুন করে। জাগাক্সগীর ও তার নিহত স্ত্রী শাহীনুর আক্তার (৩৮) দীর্ঘদিন ধরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের ডাকপাড়া এলাকায় এনায়েত মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাদের দুটি সন্তান ছিলো। যৌতুকের লোভে জাহাঙ্গীর প্রায়ই শাহীনুর কে মরাধর করতো। গত বছরের ১৯ নভেম্বর যৌতুক কে কেন্দ্র করে শাহীনুর ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে ঝগড়া বাধে। ঝগড়ার সুত্র ধরে ঐ দিন রাত ৪ টার সময় জাহাঙ্গীর তার ঘুমন্ত স্ত্রীকে ধারোলো বটি দিয়ে গলা কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এর পর দিন গত বছরের ২০ নভেম্বর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিহত শাহীনা আক্তারের বড়ো ভাই মো: জামাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের প্রায় সাড়ে চার মাস পরে তাকে গ্রেপ্তার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যোবায়ের ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১১ (ক) ধারা মোতাবেক মামলা করা আছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাকে ধরতে সমর্থ হয়েছে। মামলার আসামী বিজ্ঞ আদালতের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।