সামসুল ইসলাম সনেটঃ ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর বাস স্টান্ড এলাকা অজ্ঞাত বাসের চাপায় সিএনজি চালক মোঃ মোকবুল হোসেনে (৩৬) ও নেহা আক্তার (৫) নামের এক শিশু সড়ক দূর্ঘটনা তে নিহত হয়েছে।
রবিবার ভোরে ঢাকা মাওয়া মহা সড়কের আব্দুল্লাহপুর বাসস্টান্ড এলাকায় এই মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা তে প্রানহানীর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো আহত হয়েছে নিহত নেহার মা উর্মি আক্তার হানী (২৬) ও ভাই মোঃ সায়েম (৮) ও চাচাত ভাই মোঃ মারুফ হোসেন (১৬)।
নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে হাসরা হাইওয়েথানা পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে নিহত নেহার মা উর্মি ও ভাই সায়েমের অবস্থা আশংকাজনক। নিহত নেহার পিতা মোঃ জসিম উদ্দিন জানায়, দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের বাঘাপুর এলাকায় তার বড় বোন রিনার বাড়ি। বোনের স্বামী লন্ডনপ্রবাসি। ভগ্নিপতি বোনকে লন্ডন নিয়ে যাবে। সেই সুবাদে শুক্রবার তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বোনের বাড়ি বেড়াতে যান।।
সেখান থেকে গতকাল রবিবার ভোরে সিএনজি চালিত অটোরিক্স যোগে নিজ বাড়ি আলুকান্দার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেন। তাদের অটোরিক্স আব্দুল্লাহপুর স্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে ঢাকাগামী অজ্ঞাতনামা একটি যাত্রাবাহি বাস দ্রুতগতিতে পিছন দিক থেকে এসে অটোরিক্সাকে চাপা দিয়েপালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই মারা যায় অটোরিকশার চালক শিশু নেহা । খবর পেয়ে হাসাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাপস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহযোগতায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। এবং আহত চিকিৎসর জন্য হাসপাতালে পাঠান।
হাসাড়া হাইওয়ে থানা ওসি গোলাম মোর্শেদ তালুকদার জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিত্বে ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতদের লাশ উদ্ধার করি এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাই। ।
নিহত সিএনজি চালক মোঃ মোকবুল হোসেনে এর বাড়ী কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সোনাকান্দা গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল করিম।
আর নেহার বাড়ী দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার কোন্ডা ইউনিয়নের আলুানদা গ্রামে।তার বাবার নাম মোঃ জসিম উদ্দিন ।
পরে নিহতদের স্বজনরা কোন মামলা করবেনা মর্মে বিনা ময়না তদন্তে লাশ নেওয়ার আবেদন করলে আমি উর্ধ্বতন কর্মর্তাদেরনির্দেশে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর কর।