ঢাকার কেরানীগঞ্জে করোনার ভ্যাক্সিন সিনোফার্মার টিকা গ্রহনের পর কাজী হারুন অর রশিদ (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কলাতিয়া ইউনিয়নের গনটিকাদান কেন্দ্র খাড়াকান্দি মাদ্রাসায় এ ঘটনাটি ঘটে। টিকা গ্রহণের ১৫ মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনদের দাবী।
নিহতের বাড়ী উপজেলার কলাতিয়া ইউনিয়নের মুন্সিনোয়াদ্দা গ্রামে। টিকা নেয়ার পর মারা যাওয়ার ঘটনায় নিহতের লাশটি ময়নাতদন্ত করতে চাইলে পরিবারের লোকজনের দাবীর প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের চাচাতো ভাই মোঃ মিশু বলেন, আমার ভাই হার্টের রোগী ছিলেন। তিনি ৩/৪ বছর আগে একবারে হার্টের সমস্যায় ভুগেছিলেন। তবে আজ সকালে তিনি সুস্থ স্বাভাবিকভাবেই পায়ে হেটে টিকা কেন্দ্রে আসেন। টিকাকেন্দ্রে টিকা দেয়ার ১ মিনিটের মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে বসিয়ে পানি খেতে দিলে তিনি পানি খেয়েই অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিক পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, টিকাকেন্দ্রে সঠিক ব্যবস্থাপনা নেই। টিকাকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা আরো উন্নত করা দরকার। টিকা দেয়ার আগে টিকা প্রত্যাশীদের শরীরের তাপমাত্রা, রক্তচাপ ও হার্টবিট পরিমাপ করা দরকার। কারো যদি সমস্যা ধরা পরে তাকে টিকা দেয়া থেকে বিরত রাখলে এধরনের ঘটনাগুলো হয়তো আর ঘটবে না।
এব্যাপারে স্থানীয় কলাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাহের আলী বলেন, ঐ ব্যাক্তি আগে থেকেই হার্টের রোগী ছিল সে হার্ট এটাক করে মারা গেছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মশিউর রহমান বলেন, নিহতের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি আগে থেকেই হৃদরোগে ভুগছিলেন। টিকা নেওয়ার কিছুক্ষন পরই তিনি মারা যায়। কি কারণে তিনি মারা গেছেন সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়। একারণে আমরা লাশ ময়নাতদন্ত করতে চেয়েছিলাম তবে পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্ত লাশ স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।