কেরানীগঞ্জে বাসের ধাক্কায় মানসিক প্রতিবন্ধী র মৃত্যু

এ.এইচ.এম সাগর: ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার রোহিতপুর এলাকায় সোমবার রাতে ঢাকা – নবাবগঞ্জ গামী এন মল্লিক পরিবহনের একটি বাস ধাক্কায় রফিকুল ইসলাম (৫৭) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী ঘটনাস্থালে মারা যায়। এলাকাবাসী ঘাতক বাসটি আটক করলেও চালক পলিয়ে যেতে সক্ষম হন।

পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এবং ঘাতক এন মল্লিক বাসটি জব্দ করে।
নিহতের ভাই ওয়াহেদুল ইসলাম জানান, আমার ভাই মোঃ রফিকুল ইসলাম মানসিক প্রতিবন্ধী। সে গত ৫ মে বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফিরে আাসে নাই। তখন আমরা বিভিন্ন এলাকায় খোজাখুজি করতে থাকি। এরপর দিন ভাইকে কোথায় না পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রি করি। যাহার নাম্বার-২০৭। ওই দিনই রাত ১১টায় পুলিশ আমাদের ফোন করে জানায় রোহিতপুর ইউনিয়নের ছাড়াভিটা এলাকায় জনৈক রবিউল ইসলামের বাড়ির সামনে এন মল্লিক পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬৪২০ গাড়ীর ধাক্কায় একটি লোক মারা গেছে যা আপনার ভাইয়ের বর্ননার সাথে মিল রয়েছে।

এ খবর পেয়ে অমরা রাত সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার ভাইয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখি। এরপর পুলিশ লাশ নিয়ে থানায় চলে আসে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আমাদেও আত্মীয় স্বজনদেও সাথে কথা বলে বিনা ময়না তদন্Íে লাশ নেওয়ার আবেদন করলে পুলিশ আমাদেও লাশ দিয়ে দেয়।
মডেল থানার এস আই আমিরুল ইসলাম (চেয়ারম্যান) জানায়, আমরা প্রথমে অজ্ঞাত লাশ হিসাবে রফিকুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করি। পরে নিহতের স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তার লাশ শনাক্ত করলে জানা যায় নিহতের নাম মোঃ রফিকুল ইসলাম। তার বাড়ি অত্র থানাধিন জিনজিরা মনুব্যপারীর ঢাল এলাকা। তার পিতার নাম মৃত নুরুল হুদা। সে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী । নিহতের স্বজনরা বিনা ময়না তদন্তের লাশ নেওয়া জন্য আবেদন করলে আমাদেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে লাশ স্বজনদের কাছে হসান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে এন মল্লিক পরিবহনের মালিক নার্গিস মল্লিকের মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি, নিহত লোকটি একজন মাসিক প্রতিবন্ধী। আমাদের গাড়ীটি রোহিতপুর এলাকার ছাড়াভিটা দিয়ে যাওয়ার সময় নিহত ব্যাক্তিটি গাড়ীর সামনে দিয়ে দৌড় দিলে উক্ত মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। নিহতের পরিবারের লোকজনের কোন অভিযোগ না থাকা সত্তেও গাড়ীটি পুলিশ হেফাজতে রেখেছে।

এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, নিহতের পবিারের লোকজন কোন অভিযোগ করবে না মর্মে বিনা ময়না তদন্তে লাম নেওয়ার আবেদন করে। আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তন্তর করি। বাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এ ব্যাপাওে জিজ্ঞাসা করলে ওসি জানান, বাসটি আমাদেও কাছে রয়েছ তবে কর্তৃপক্ষ আসলে তাদেও কাছে বুজিয়ে দেয়া হবে । যেহেতু নিহতের পরিবারের কারো কোন অভিযোগ নাই তাহলে সেখানে আমার গাড়ী আটকে রাখার কোন মানে হয় না। #

আরো পড়ুন: জিডি করার নিয়ম।

নিউজ ঢাকা ২৪।

Check Also

বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে …