কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ফের পুলিশের সোর্সকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে মডেল থানাধীন খোলামোড়া মডেল টাউন এলাকায়। নিহতের নাম মোঃ খোরশেদ আলম বয়াতি (৩০)।
নিহতের গ্রামেরবাড়ি বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ থানার বাহেরচর এলাকায়। তার পিতার নাম মোঃ হাসেম বয়াতি। সে মডেল থানার খোলামোড়া এলাকায় বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের গোলাম বাজার এলাকায় জনৈক সোবাহান মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
জানাযায়, নিহত খোরশেদদ পেশায় একজন ছবি বাধার (প্লাষ্টিকের) ফ্রেম তৈরী করার কাজ করতেন এর পাশাপাশি মডেল থানার এ এস আই রিপনের সাথে ও ঢাকা জেলা ডিবি পুলিশের সাথে সোর্সের কাজ করতেন। পুলিশ এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোলামোড়া এলাকার মাদক সম্রাজ্ঞী মিনি আক্তার ও তার ভাই সালাউদ্দিনকে আটক করেছে।
এর আগে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিনজিরা এলাকায় গত ১২ এপ্রিল মামুনুর রহমান হাসু ও ২৭ এপ্রিল মোঃ রিপন নামের আরো দুই পুলিশের সোর্স নিহত হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী মাহমুদা জানান, চার বছর আগে খোরশেদের সাথে তার বিয়ে হয়। শুক্রবার স্বামী খোরশেদকে নিয়ে বাবা বাড়ি খোলামোড়া ইফতারের দাওয়াতে যাই। সেখানে ইফতারের পর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় স্বামী খোরশেদের মোবাইল ফোনে একটা কল আসলে সে বের হয়ে যায়। এর আধঘন্টা পর আমাদের এক প্রতিবেশী এসে আমাকে জানান আপনার স্বামীকে কে বা কাহারা কুপিয়ে খোলামোড়া মডেল টাউনের সামনে ফেলে গেছে। এ সংববাদ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামী খোরশেদকে মুর্মুষ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এরপর আমরা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রাত সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে এসে আামার স্বামীর লাশ দেখেন।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এ এস আই রিপনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, খোরশেদ মুলত ডিবি পুলিশের সাথে কাজ করেন। আমার এখানে মাঝে মধ্যে আসতো তবে কোন কাজ করেন নাই।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক মোঃ সাদিুর রহমান জানান, শনিবার সকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে গিয়ে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট করে এসেছি। নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা সাথে সাথে মিটফোর্ড হাসপাতালে গিয়ে নিহতের লাশ দেখি এবং ঘটনাপস্থল পরিদর্শন করি। সেখান থেকে আমরা সন্দেহ জনক খোলামোড়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ী মিনি আক্তার ও তার ভাই সালাহউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসি। তবে নিহত খোরশেদ মাদক সেবনসহ কেনাবেচার সাথে জড়িতছিল বলেও তিনি জানান। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।