দক্ষিন কেরানীগঞ্জের কদমতলী খাল পার এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক যুবক খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত যুবকের নাম মোঃ রাজেস (২০)। সে একই থানাধিন আমবাগিচা এলাকার জনৈক মোঃ লাবু মিয়ার বড় ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যার আগে। পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
নিহতের বাবা মোঃ লাবু মিয়া জানান, তার তিন ছেলে । নিহত রাজেস সবার বড় । সে কালিগঞ্জ বড়ই তলা এলাকায় একটি লেদ মেশিনে কারখানায় কাজ করতেন। গতকাল দুপুর তিনটার সময় সে ছোট ভাই রোহানের কাছ থেকে এক’শ টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। বের হওয়ার সময় তার মা কোহিনুর বেগম ভাত খেয়ে যেতে বলেন। সে উত্তরে বলে মা আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি পরে এসে ভাত খাবো।
এরপর ঘন্টা দুই পারে লোক মুখে জানতে পারি কে বা কাহারা আমার ছেলেকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। তার সাথের অন্য বন্ধুরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এ খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে যাওয়ার উদ্যেশে রওনা দিলে পথি মধ্যে দেখি আমার ছেলেকে মৃত্য অবস্থায় তারা নিয়ে আসতেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও আমাদের বাড়িতে এসে ছেলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
প্রত্যক্ষ দর্সি রজ্জব জানান, নিহত রাজেস আমি ও আমাদের আরেক বন্ধু সাড়ে তিনটার সময় কদমতলী খাল পার এলাকায় আসি। এ সময় সেখানে গিয়ে দেখি সেখানকার বখাটে পাপ্পূ কেরানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় যুবক খুননামের এক ছেলে অপর একটি ছেলে মোবাইল ফোন জোড় করে নিয়ে নিয়েছে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক চলছে। তখন রাজেস পাপ্পূকে ওই ছেলের মোবাইলটি দিয়ে দিতে বলেন। পাপ্পূ মোবাইল না দিয়ে ওল্টো গাল মন্দ করতে থাকলে রাজেস পাপ্পূ কেএকটি চর মারে। চর খেয়ে পাপ্পু তার বাড়িতে গিয়ে ছুরি এনে রাজেসের পেটে মধ্যে পার (আঘাত) দেয়। এ সময় রাজেস মাটিতে লুটে পড়ে। আমরা সাথে সাথে ডাকচিৎকার করতে থাকি। তখন পাপ্পু দৌড়ে পালিয়ে যায়। এবং এলাকার লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে রাজেসকে চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্য ঘোষনা করে। পরে আমরা রাজেসের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, হত্যার খবর পাওয়ার আমরা ঘটনাস্থরেল গিয়ে যা জানতে পারিন। তা থেকে বলা যায় তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যা কান্ড ঘটেছে। আশা করি এ হত্যা কান্ডের সাথে যারা জড়িত রয়েছে অচিরেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো এবংহত্যার সাথে অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে থাকলেও তা বের করতো পারবো। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।