কেরানীগঞ্জে ছেলেকে চোর সন্দেহে আটক করে মিমাংশা হওয়ার পরেও বাবাকে ডেকে এনে পিটিয়ে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। নিহত ব্যাক্তির নাম মো: বাদল মিয়া (৫৫)। গতকাল শুক্রবার ( ৯ আগষ্ট) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা গুলজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানা সুত্রে জানা যায়, মো: বাদল মিয়া (৫৫) পিতা: মৃত মোবারক হোসেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অন্তর্গত আমিরাবাগ এলাকায় বসবাস করেন। তার দুইটি ছেলে রয়েছে । বড় ছেলের নাম স্বপন ও ছোট ছেলের নাম সজল। কেরানীগঞ্জের বাদাম গাছতলা এলাকায় তার ছোটখাট একটি ছাগলের খামার রয়েছে। আজ দুপুর ১২ টার দিকে ছোট ছেলে সজল খামার থেকে ৬টি ছাগল হাটে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে জিনজিরা বাজার হাটে নিয়ে আসতেছিলো। পথিমধ্যে জিনজিরা গুলজারবাগ এলাকায় আসলে গুলজারবাক এলাকার মুরব্বি সাচ্চু মিয়া চোর সন্দেহে ছাগল সহ সজলকে আটক করে। সজল ছাগলগুলো তাদের খামারের বলে জানায়, কিন্তু সাচ্চু মিয়া সহ উপস্থিত লোকজন বিশ^াস না করে সজলকে মারধর করে। পরে সজল ফোন করে তার বাবা ও বড় ভাইকে ঘটনাস্থলে আসতে বলে। এর পরে সজলের বড়ো ভাই ও পিতা ঘটনা স্থলে আসলে সাচ্চু মিয়ার সাথে সজলের বাবা বাদল মিয়ার তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে বাদল মিয়া সাচ্চু মিয়াকে চর মারে। পরে এলাকার মুরব্বিরা উপস্থিত হয়ে বিষয়টি ঘটনাস্থলেই মিমাংসা করে দেয় ।
এর পরে দুপুর ৩ টার দিকে সাচ্চু মিয়ার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বাদামগাছ তলা এলাকায় বাদল মিয়ার খামারে গিয়ে বাদল মিয়াকে ধরে নিয়ে আসে । বাদল মিয়াকে গুলজার এলাকায় কাসেম হাজীর বাড়িতে এনে আটকিয়ে বেদম মারধর করে। মারধরের কারনে বাদল মিয়া গুরুত্বর আহত হয়ে পরে। আটকের খবর পেয়ে বাদলের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সাজেদা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় । সাজেদা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা বাদলকে মৃত ঘোষনা করে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যোবেয়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যানান, লাশ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতর স্ত্রী মেহরুনা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পক্রিয়া চলছে। দোষীদের দ্রুত বের করে আমরা সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
আরো পড়ুন,মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনী বই ও ল্যাপটপ বিতরণ