কেরানীগঞ্জে মোঃ ইমু (১৫) নামের এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন ভাংনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে বালুরমাঠ এলাকায়।
এ ঘটনায় পুলিশ আকাশ নামে নিহতের এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছে। নিহত ইমুর বাড়ি একই থানাধিন বাঁকাচড়াইল এলাকায়। তার পিতার নাম মৃতঃ এনামুল হক।
নিহতের নানী নুরজাহান বেগম জানান, নিহত ইমুর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই তার মা মমতাজ ও বড় ভাই আজমানিনকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে বসবাস করেন। ইমু ইলেকট্রিক কাজ করতো। তার মাও মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করেন। রবিবার সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় ইমু বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এর আধাঘন্টা পর ইমুর এক বন্দু আকাশ আমাদের বাড়িতে এসে খবর দেন কে বা কাহারা ইমুকে কুপিয়ে রক্তাত্য অবস্থায় ভাংনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে ফেলে রেখেছে।
এ সংবাদ পেয়ে ইমুর বড় ভাই (বড় নাতি) আজমানিনসহ এলাকার আরো কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমুকে মুমুর্ষ অবস্থায় দেখতে পায়। সাথে সাথে তারা ইমুকে চিকিৎসা করার জন্য স্থানীয় সাজেদা হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ সুত্রে জানাযায়, রবিবার সকালে ইমুর মোবাইল ফোনে তার এলাকার এক বড় ভাই তার বাড়িতে একটি লাউ নিয়ে যেতে বলে। তখন ইমু তার এক বন্ধু আকাশকে নিয়ে সে বড় ভাইয়ের বাড়ি রওনা দেন। তারা ভাংনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের বালুর মাঠ এলাকায় পৌছলে দশ-বারজন অজ্ঞাতনামা যুবক এসে তাদের গতিরোধ করে।
এক পর্যায়ে ইমুকে লক্ষ করে গতিরোধকারীরা এই সে ছেলে বলে এলাপাথারী মারধর করতে থাকে। এ সময় ইমুর পিছন দিক থেকে ধারা অস্ত্র (ছুরি) দিয়ে ছুরিকাঘাত করলে ইমু মাটিতে লুটে পড়ে। তখন দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ সময় ইমুর বন্ধু আকাশ ইমুর বাড়িতে খবর দিয়ে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোল্লা সোহেব আলী জানান, খবর পেয়ে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়ে ইমু লাশ দেখি। রাজধানীর শাহবাড় থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে। আমরা জিজ্ঞাসা বাদের জন্য ইমুর বন্ধু আকাশকে থানায় নিয়ে এসেছি। ঘটনা মূল রহস্য ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্নস্থানে আমাদের কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় ছুড়িকাঘাত মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ এইচ এম সাগর।https://www.facebook.com/newsdhaka24/?ref=bookmarks
নিউজ ঢাকা ২৪