কেরানীগঞ্জে চার সন্তানের জননীকে ধর্ষনের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের নাম নুর নাহার খাতুন (২৮)। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন পূর্ব আগানগর মাকসুদা গার্ডেন সিটি নামে একটি মার্কেটের আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য স্যর সলিমুল্লাজহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
জানা যায়, নুর নাহার খাতুন ওই মার্কেটের ৪ তলার একটি কারখানার কয়েকজন গার্মেন্ট শ্রমিককে ভাত খাওয়াতেন। বাসায় রান্নার পর নিজেই খাবার পৌছে দিতেন শ্রমিকদের কাছে। অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার সন্ধ্যায়র পর রাতের খাবার নিয়ে তিনি ওই মার্কেটে যান। সেখান সে ফিরতে দেরী হলে মেঝ মেয়ে ফাহিমা মাকে খুজতে মাকসুদা গার্ডেন সিটেতে যান এবং সেখনে কর্তব্যরত নৈশ প্রহরী মোঃ নাসিরকে জিজ্ঞস করেন তার মা এখানে এসেছে কিনা। তখন নৈশ প্রহরী নাসির ফাহিমাকে জানান, তুমি ভিতরে গিয়ে দেখো একটি লাশ পড়ে আছে এটা তোমার মায়ের কি না। তখন ফাহিমা লাশের কছে গিয়ে তার মাকে দেখতে পেয়ে হাইমাই করে কাদঁতে থাকে। এরপর রাত সাড়ে ১১টার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাল মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন জানান, অন্ধকারে লাশটি পড়ে ছিল। জামাকাপড় এলোমেলো ও শরীেেরর ধস্তাধস্তির চিহ্ন এবং ইট দিয়ে মাথা থেতলানোছিল। এটা পরিস্কার যে ওই নারীকে হত্যার আগে ধর্ষন করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, শুক্রবার ছিল সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। ওই নারী সন্ধ্যার দিকে রাতের খাবার নিয়ে মার্কেটে আসেন। ধারনা করা হচ্ছে, ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাকে জোরপূর্বক মার্কেটের আন্ডার গ্রাইন্ডে নিয়ে ধর্ষন করে। পরে ধরা পড়ার ভয়ে তাকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা পর লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। নিহত নারীর কনিকা, ফাহিমা, মারজানা ও ইব্রাহিম নামের ৪জন সন্তান রয়েছে। তার স্বামীর নাম কবির হোসেন। তারা আগানগর ছোট মসজিস এলাকাায় জনৈক সেন্টু মিয়ার বাড়িতে তারা ভাড়া বাসায় থাকেন।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাজামান জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে রাত আনুমানিক ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্র্গে পাঠানো হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ধর্ষনের পর ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এ ঘটনায় শনিবার নিহতের ছোট ভাই ওসমান বাদী হয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ হত্যার কোন রহস্য উৎঘাটন বা আসমী গ্রেপ্তার করতে পারে নি।
এ.এইচ.এম সাগর।
নিউজঢাকা২৪।