কেরানীগঞ্জে ক্ষত-বিক্ষত যুবকের বস্তা বন্ধি লাশ উদ্ধার

কেরানীগঞ্জের কদমতলী খালপার এলাকা থেকে মোঃ সাগর (৩০) নামের এক যুবকের বস্তাবন্দী ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রতিবেদন করে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহতের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার উলানিয়া এলাকায়। সে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন কদমতলী খালপার এলাকায় জনৈক ইয়াসিন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি পেশায় একজন অটোরিক্সা চালক ছিলেন।
স্থানীয়সুত্রে জান যায়, নিহত সাগর কদমতলী খালপাড় এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত স্ত্রী নিয়ে ভাড়া থাকতেন। গত এক বছর আগে তার স্ত্রী চলে যায়। এরপর থেকে সাগর ইয়াসিন মিয়ার বাড়িতে ব্যাচেলর হিসাবে থাকতেন। স্থানীয়রা আরো জানান, সাগরের লাশ যে ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সে ঘরের ভাড়াটিয়া মহিলা রুমার সাথে তার অবৈধ সম্পর্কছিল। রুমার স্বামী একাধিকবার সাগরকে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলা নিষেধ করার পরও তারা একে অপরের সাথে মেলামেশা করতেন। একদিন রুমার স্বামী সাগরের সাথে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। সে থেকে রুমার স্বামী সাগরের উপর ক্ষিপ্তছিল। আমাদের ধারনা বুধবার রাতে পরিকল্পিতভাবে রুমার স্বামী সাগরকে তাদের ঘরে নিয়ে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্ধি করে পালিয়ে যায়।

বাড়ির মালিক মোঃ ইয়াসিন জানান, বুধবার রাতে তার বাড়াটিয়া রুমা বেগম তাকে ফোন বলে তার ঘরের খাটের নিচে সাগরের বস্তাবন্ধি লাশ রয়েছে। এরপর তার ফোন বন্ধ করে দয়ে। রুমার ফোন পেয়ে আমি সাথে সাথে থানা পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ রাত ১ টার সময় ঘটনাস্থলে এসে সাগরের পাশের ঘরের খাটের নিচ থেকে বস্তা বন্দী সাগরের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই)কামরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমি স্গীয় ফোর্স নিয়ে বুধবার রাতে কদমতলী খালপাড় এলাকার ইয়াসিন মিয়ার বাড়িতে যাই। সেখানে নিহত পাশের ঘর থেকে একটি প্লাষ্টিকের বস্তাবন্দী অবস্থায় সাগরের লাশ উদ্ধার করি। বস্তাটি খোলার পর নিহতের গলায় নাকে মুখে ধারালো অস্ত্রের দিয়ে ক্ষত বিক্ষত চিহ্ন দেখতে পাই। নিহতের গোপনাঙ্গ ও কেটে ফেলা হয়েছিল। ধারনা করা হচ্ছে যে ঘর থেকে নিহত সাগরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সে ঘরের ভাড়াটিয়ারাও পলাতক থাকায় তারাই হত্যা করে পালিয়ে যেতে পারে। তবে কেন বা কি কারনে হত্যা করা হয়েছে এ মামলার আসামীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের পর হত্যার আসল রহস্য জানা যাবে।

এ ব্যাপারে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ শাহজামান জানান, পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় নিহত সাগরের পাশের ঘরের রুমার স্বামীর নাম মামলা তদন্তের সার্থে আপাতত বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি পরকিয়া হতে পারে বলেও তিনি অনুমান করছেন।

 

আরো পড়ুন: কেরানীগঞ্জে ভুয়া পুলিশ

Check Also

বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে …