কেরানীগঞ্জে এনডিডি এবং অটিজম বিষয়ক “সেনসিটাইজেশন ওয়ার্কসপ” উদ্ধোধন

এ.এইচ.এম সাগর:  প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের আওতায় ন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক প্লান ফর নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজ অর্ডার এর ঢাকা জেলা কেরানীগঞ্জ উপজেলায় এনডিডি এবং অটিজম বিষয়ক “সেনসিটাইজেশন ওয়ার্কসপ” এর উদ্ধোধন করা হয়।

শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে শিক্ষা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এবং কেরানীগঞ্জ শিক্ষা অফিসের আয়োজনে পাইলট প্রকল্প হিসাবে এ প্রকল্পের উদ্ধোধন করা হয়।

পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই প্রকল্প চালু করা হবে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক শাহীন আহমেদ এর সভাপতিত্বে প্রকল্পটি প্রধান অতিথি হিসাবে উদ্ধোধন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড.এ এফ এম মনজুর কাদির।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (আইএমডি) পরিচালক (যুগ্ম সচিব) বদিয়ার রহমান, ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার মজিবুর রহমান।

এনডিডি এবং অটিজম বিষয়ক “সেনসিটাইজেশন ওয়ার্কসপ” এর উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাজেদা সুলতানা, উপজেলা স্বাস্থকর্মকর্তা মীর মোবারক হোসেন,উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ফখরুল আশ্রাফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন, ঢাকা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সিলারা ইসলাম, তারানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, এস এম সির সভাপতি-সদস্য এবং অটিজম শিশুসহ তাদের অবিভাবকগন।

অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, অটিজম শিশুরা দেশের বোঝা না। তারাও দেশের গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা, সমাজ সেবা অধিদপ্তর এবং মা ও শিশু মন্ত্রনালয়সহ মোট ৫টি মন্ত্রনালয় একত্রে নিউরোডেভেলপমেন্টাল (অটিজম শিশুদের) নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কেরানীগঞ্জকে বাছাই করে এ প্রকল্পের পাইলট প্রকল্প শুরু করা হলো।

পর্যায় ক্রমে সারা দেশে এ প্রকল্প চালু করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশে অটিজম শিশুসহ প্রতিটি শিশু যেন মান সম্মত শিক্ষা গ্রহন করতে পারে আমরা সেদিকেও কাজ করে যাচ্ছি। কেরানীগঞ্জে এ পর্যন্ত ৩৭৫০জন অটিজম শিশু সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩১৫০জন অটিজম শিশুকে ভাতার আওতায় আনা হয়েছে এবং ১৮০জন প্রতিবন্দী শিশুকে শিক্ষা উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বক্তরা আরো বলেন, অটিজম বা প্রতিবন্দী শিশুদের প্রতি আমাদের সকলের মানসিক পরিবর্তন আনতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় প্রতিবন্ধী শিশুর পিতা-মাতাই তাদের লুকিয়ে রাখেন।

আমরা এ কাজটি না করে তাকে অন্য শিশুদের সাথে খেলতে দিতে হবে, বিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকসহ অন্যান্য অবিভাবকরা সাধুবাদ জানিয়ে তাদের ছেলে মেয়েদের সাথে মিসতে দিলে তারাও একদিন অনেক দুর এগিয়ে যেতে পারবে। আর এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল দেশ বিদেশে কাজ করে যাচ্ছেন। অটিজম বা প্রতিবন্দী শিশুদের সমাজের অবক্ষয় না ভেবে নিজের সন্তান ভেবে তাদের এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করতে হবে। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আজ প্রতিবন্ধীরা চাকুরী করছেন।

নিউজ ঢাকা

আরো পড়ুন,রাজবাড়ীতে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে অসহায় রোগাক্রান্তদের মাঝে চেক বিতরন

Check Also

৬ বছর অপেক্ষার পর আবারো নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ রুটে বিআরটিসি দ্বিতল বাস

দিদারুল ইসলাম:   দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কে পুনরায় চালু হয়েছে বিআরটিসি দ্বিতল বাস …