কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের ঘাটারচর এলাকায় জেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সিদ্দিককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে আহত আবু সিদ্দিকের বড় ছেলে সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে ১৫ জনের নামে আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার পর রাতে অভিযান চালিয়ে ঘাটারচর এলাকা থেকে মধুসিটির দারোয়ান ও মামলার এজাহার নামীয় আসামী লাল মিয়া (৪৮) ও মোঃ শরীফ (৩২) নামে দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। রোববার দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক অপারেশন ও মামলার তদন্তকারী র্কমর্কতা গোলাম সারোয়ার জানান শনিবার বিকালে, ছেলের গাড়ী ভাংচুর করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন সাবেক ঢাকা জেলা আ’লীগ নেতা আবু সিদ্দিক।
রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে আশংকা জনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় শনিবার রাতে তার বড় ছেলে মামলা করেছেন। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় অন্যতম আসামী করা হয়েছে মধুসিটি আবাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সলিমুল্লাহ সলিম ও তার ছোট ভাই ঢাকা জেলা আ’লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব ও হাজি মোঃ রফিককে।
মামলাার পর শনিবার রাতেই এজাহার নামীয় দুই আসামী লাল মিয়া মধু সিটির দারোয়ানকে রাত ১১টায় মধুসিটি অফিস থেকে এবং ভোর রাত সাড়ে ৪টায় দিকে আরেক আসামী অত্র থানাধীন কঠালতলী এলাকার আকবর আলীর ছেলে মোঃ তানবীর আহমেদ শরীফকে তার নীজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলায় অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার বাদি আহত আ,লীগ নেতা আবু সিদ্দিকের বড় ছেলে সাব্বির আহমেদ নাসিদ জানান, শনিবার বিকালে ঘাটারচর এলাকায় মধূসিটি আবাসন প্রকল্পের সামনে দিয়ে আমার ছোট ভাই সিফাত আহম্মেদ আমাদের জয়নগর বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকার উদ্দ্যেশে রওনা হলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় বখাটে দুলালের নের্তৃত্বে গাড়ির গতিরোধ করে ভাংচুর চালায়।
এসময় আমার ভাই কোন রকম প্রানে প্রান রক্ষা করে আমার বাবা আবু সিদ্দিককে ফোন করে। ছেলের ফোন পেয়ে বাবা একটি অটোরিক্সা নিয়ে ঘটনাস্থালে গেলে সেখানে উক্ত মামলার আসামীরা আমার বাবাকে জেহাড় পূর্বক টেনে হেছরে মধু সিটির অফিসের ভিতর নিয়ে হত্যার উদ্দ্যেশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কোপাতে থাকে।
এ সময় আমাদের দুই ভাইয়ের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে আসলে আমরা তাদের সহযোগিতায় আমার বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। আমার বাবার অবস্থা খুবই আশংকা জনক। আমি এ ঘটনায় মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কামনা করছি এ মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হউক।