ঈদ উল আযহায় এ পযন্ত সড়কে প্রান ঝরল ২৬২ জনের

ঈদ উল আযহায় এ পযন্ত সড়কে প্রান ঝরল ২৬২ জনের

পবিত্র ঈদুল আযহা ঘিরে সড়ক দুর্ঘটনায় সারাদেশে ১৩ দিনে ঝড়েছে ২৬২ প্রান । এতে আহত হয়েছে আরো ৫৪৩ জন।সোমবার (২৪ জুন) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ঈদযাত্রার ১১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ২৫১টি সড়ক দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১০৪ জন, যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ৩২ জন, শিশু ৪৪ জন, পথচারী ৪৯ জন, যানবাহনের চালক ও সহকারী ২৮ জন রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সময়ে সাতটি নৌ-দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ১৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় ৯৯৮ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে উল্লেখ্যযোগ্য বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৭২টি দুর্ঘটনায় ৬৭ জন নিহত হয়েছে। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৮টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। একক জেলা হিসেবে দিনাজপুরে সবচেয়ে বেশি ১৬ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম শরীয়তপুর, রাঙামাটি, সুনামগঞ্জ, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলায়। এই ৫টি জেলায় স্বল্প মাত্রার কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রান হানি ঘটেনি। রাজধানী ঢাকায় ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছে।

ঈদ উদযাপনকালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ২০.১৫ জন নিহত হয়েছে। গত বছরের ঈদুল আজহায় প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছিল ২১.৬ জন। এই হিসাবে গত বছরের তুলনায় এবছর প্রান হানি কমেছে ৬.৭১ শতাংশ। তবে এটা কোনো টেকসই উন্নতির সূচক নির্দেশ করছে না। কারণ সড়ক পরিবহন খাতে ব্যবস্থাপনাগত কোনো উন্নতি হয়নি। তবে গত বছরের ঈদুল আজহা উদযাপনকালের তুলনায় এবছর বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়েছে ১৩.৩১ শতাংশ।

ঈদযাত্রায় রাজধানী ঢাকা থেকে কমবেশি ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ঘরমুখী যাত্রা করেছেন এবং প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ আন্তঃজেলায় যাতায়াত করেছেন। উত্তরবঙ্গগামী সড়কের চন্দ্রা ও টাঙ্গাইলে যানজট হয়েছে। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও যানজট হয়েছে, তবে অসহনীয় মাত্রায় হয়নি। অনেক পরিবহন মালিক যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করেছে। বিআরটিএ এই ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ট্রেনে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। টিকিট কালোবাজারি হয়েছে। নৌ-পথে স্বস্তি থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে। ঈদের ফিরতি যাত্রায় বাসে, লঞ্চে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। ঈদ উদযাপনকালে যে সব দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেনি, শুধু আহত হয়েছে- সেসব দুর্ঘটনার অধিকাংশই গণমাধ্যমে আসেনি। ফলে দুর্ঘটনায় আহতের প্রকৃত চিত্র জানা যায়নি।

আরো পড়ুনঃ কেরানীগঞ্জে ৫০লাখ টাকার মাদকসহ র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার ২ 

Check Also

টিআইবি

১৪ বছরে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ৫১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতিঃ টিআইবি

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৪ বছরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের …