ইস্পাহানী ডিগ্রী কলেজ এ ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকি উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো আজ।
ঢাকা জেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ইস্পাহানী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ আয়োজিত আজকের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহব্বায়ক দুই বারের দেশ সেরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২ এর নৌকা মার্কার প্রধান দাবীদার জনাব শাহীন আহমেদ।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইস্পাহানী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব শাহ্ জালাল অপু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় জেলা পরিষদ সদস্য জনাব সোহরাব হোসেন খোকন,ঢাকা জেলা যুব মহিলালীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিলারা ইসলাম, জনাব হাবিবুর রহমান হাবিব,জনাব সাকুর হোসেন সাকু চেয়ারম্যান , জনাব তাহের আলী চেয়ারম্যান , সালাহ উদ্দিন লিটন চেয়ারম্যান ,মিন্টু হোসেন,এম,এ,এইচ আবিদ,ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মনির হোসেন রাজীব সহ ছাত্রনেতা রেজাউল করিম রিপন, সোহেল মাহমুদ, আল-আমিন, সেখ রাসেল সহ উপজেলা, কলেজ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ।
আলোচনা শেষে এক বিশাল গণভোজনের আয়োজন করা হয়।
জনাব শাহীন আহমেদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। এর মধ্য দিয়ে বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় সংযোজিত হয়েছিল। সেদিন ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, আরিফ, বেবি ও সুকান্ত, আবদুল নাঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণিকেও হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলকেও সেদিন ঘাতকদের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। তবে সেই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগ কে বিজয়ী করতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তার সংক্ষিপ্ত ভাষণ শেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অত্র কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদন নুর আলম।
আরো পড়ুন : ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের