আমরা কমবেশী সবাই যানবাহনে উঠে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত করে থাকি। যাত্রা পথে বিভিন্ন রকম বিপদাপদ আমাদেও হতে পারে সেই বিপদাপদ থেকে রক্ষার জন্য যানবাহনে উঠার নিয়ম সময় দোয়া পাঠ করা জরুরী।
রাসুল (সা.) বলেছেন ‘যে ব্যক্তি এই দোয়া পরে ঘর থেকে বের হবে সকল বিপদ থেকে সে নিরাপদে থাকবে এবং ইবলিশ শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। দোয়াটি হল বিসমিল্লাহি তাওয়াককালতু আলাল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতাইল্লা বিল্লাহ অর্থ্যাৎ আমি আল্লাহর নামে আল্লাহর উপর ভরসা করছি আল্লাহ শক্তি ও সমর্থ ছাড়া কারো কোন ক্ষমতা নেই’।(তিরমিজী খন্ড-২ পৃষ্ঠা-১৮০)
আমরা যানবাহনে উঠার সময় খুব তাড়াহুরা করি, প্রথমে উঠবে কে তা নিয়ে চলে প্রতিযোগীতা। যানবাহন চলার সময়ে আমরা লাফদিয়ে সেই বাস কিংবা লঞ্চ বা নৌকায় উঠতে দৌড়াতে থাকি। আমার তাড়াহুরার কারনে পাশে থাকা ব্যক্তি পরে গিয়ে যেকোন সময় দূর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তাই যানবহনে আরোহনের সময় কোন রকমের তাড়াহুড়া না করে ধীর গতীতে উঠা আমাদেও অবশ্যই প্রয়োজন। থেমে খাকা বাহনে উঠার সময় প্রথমে বিসমিল্লাহ পড়ে পা রেখে বসার পর আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয় এরপর আরোহনের দোয়া পাঠ কারর পর তিনবার আলহামদুল্লিালাহ ও তিনবার আল্লাহু আকবর বলে সর্বশেষ এই দোয়া পড়তে হয়‘সুবহানাকা ইন্নি জলামতু নাফসি জুলমান কাছীরান ফাগফিরলি ইন্নাহু লাইয়াগফিরনিজ্জুনুবা ইল্লা আরতা”।(তিরমিজী)
রাসুল(স.) থেকে বর্ণিত,তিনি সাওয়ারীতে বসার পর যে দোয়া বলতে যেটি হলো ‘সুবহানাল্লাজি সাখখারালানা হা জা ওয়ামা কুননা লাহু মুক্করিনীন ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্কালিবুন।অথ্যাৎ মহান পবিত্র তিনি যিনি আমাদের জন্য এটাকে অধীন নিয়ন্ত্রিত বানিয়ে দিয়েছেন নতুবা আমরাতো এটাকে বশ করতে সক্ষম ছিলামনা একদিন আমাদেরকে আমাদের প্রভুর নিকট নিকট অবশ্যই ফিরে যেতে হবে’। (সূরা যুখরুফ-১৩-১৪)
নদীপথে ভ্রমনের সময়ে দোয়া পাঠ করতে হয়। হজরত নূহ (আ:) কে নির্দেশ করা হল যে,বেঈমানদের বাদ দিয়ে ঈমানদার নিয়ে নৌকার তুলে নিন। হজরত নুহ (আ:) উক্ত দোয়া করেন,‘বিসমিল্লাহি মাজরেহা ওয়ামুসাহা ইন্না রাব্বি লাগাফুরুর রাহিম অথ্যাৎ আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি আমার পানলনকর্তা অতি ক্ষমা পরায়ন মেহেরবান’।(সূরা হুদ-৪)
আমরা যখন যানবাহনে বিভিন্ন স্থানে সফর করে বাড়িতে ফিরব তখন নিরাপদে ভ্রমন করতে পারায় সর্বপ্রথম আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা সহ রাসুল (সা.) এর প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ করা প্রয়োজন। শুকরিয়া হিসাবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করাটা খুব উত্তম একটি কাজ। হজরত কা’ব ইবনে মালেক (রা:) হতে বর্ণিত ‘রাসুল(স.) যখন সফর থেকে বাড়ি ফিরতেন তখন সর্ব প্রথম মসজিদে গিয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়তেন’।(বুখারী ও মুসলিম)
মো: আবু তালহা তারীফ
নিউজ ঢাকা ২৪।