আগামী নির্বাচনে লড়াই হবে মুক্তযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির মধ্যে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠ ভাবে হোক একটি মহল তা চায় না। তাই নির্বাচন বানচালের জন্য কিছু ষড়যন্ত্রকারী ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, সাধারন জনগন সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য সার্বজনীন ভাবে ঐক্যবদ্ধ আছে।
নির্বাচনে ব্যালোটের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে সমীচিন জবাব দেয়া হবে ।যার যার অবস্থান থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। এ সব ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইউতহাস না শেখানোর জন্য নির্বাচন বানচাল করতে চায়। আজ রবিবার সকালে ঘাটাচরে গনহত্যা দিবস উপলক্ষে ঘাটারচর ৭১এর শহীদ পরিবারের উদ্যোগে ঘাটারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শহীদদের স্মরনে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা প্রধান অতিথি হিসাবে খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম নএ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরেই আজকে দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা খাত, স্বাস্থ্যখাত সমৃদ্ধ, বছরের প্রথম দিনেই ছাত্র ছাত্রীরা নতুন বই হাতে পায় যার নজির উপমহাদেশে আর কোথাও নেই। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ^ নন্দিত নেত্রী। বিএনপি জামাত সরকার দেশকে যে ধ্বংশের মুখে ফেলে দিয়েছিল আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেখান থেকে দেশকে তুলে এনেছেন। দেশ আজ এগিয়ে চলেছে। একটি কুচক্রী মহল দেশকে পিছিয়ে ফেলার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সাথে মিলে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। তাদের এ ষড়যন্ত্র কিছুতেই সফল হবে না।
আগামী নির্বাচনে আপনারা আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সাধারন জনগন দেশের উন্নয়ন অব্যহত রাখবে। ঘাটরচর শহীদদের স্বরনে খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দগন ঘাটারচরে শহীদদের গনকবরে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা জেলা যুবলীগের সভাপতি শফিউল আজম খান বারকু, আ’লীগ নেতা ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, এ্যাড. এনামুল হক, আখের হোসেন আখি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনী ঘাটারচরে মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫৭জন মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। ঘাটারচর কবরস্থানে ৩৪ জনকে একই কবরে সমাহিত করা হয়।