অতিবৃষ্টি ও ঝড়ের কারনে এবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে অনেক চাষীদের বেঁচেও মরার মত অবস্থা হয়েছে ।
এ ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়নি ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকরা ।
কেরানীগঞ্জের কয়েকটি ইউনিয়ন সরজমীনে ঘুড়ে কৃষকদের মুখ থেকে শোনা যায় তাদের হতাশার কথা।
কেরানীগঞ্জের বাস্তা ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন কৃষকদের সাথে কথা হয়। কুমলি ভিটা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মিরজাহান তাদের মধ্যে একজন।
কৃষক মিরজাহান তার ভাষায় বলেন আমি এ বছর ২ পাখি জমিতে ধান লাগাই ছিলাম।
ধানও ভালোই হইছিলো , ধান পাইকক্কাও গেছে কিন্তু অতিবৃষ্টি ও ঝড়ের লইগগ্গা ধান গাছ সব ক্ষেতে পাইরা গেছেগা।
ক্ষেতে যা পরছেতো পরছেই যে গুলা হেইগুলা কাডোনেরও লোক নাই ।
যদিও কেউ রাজি অয় তাও আবার মেলা টেহা চায় যা আমগো দেওয়ার তৌফিক নাই।
সামনে বর্ষাকাল আরো চিন্তায় আছি কবে ধান কাডামু কবে লারমু কবে ভাঙ্গামু আর আর কবে এ ধানের ভাত খামু।
এ চিন্তায় রাইতে টিক মতন ঘুম আহেনা । তার মতোই হতাশার কথা শোনা যায় কেরানীগঞ্জের আরেক
ইউনিয়ন ধীৎপুরের বাসিন্দা মোঃ তাইজুল ইসলামের মুখে ।সেও প্রায় একই ধরনের কথা বলে।
সে আরো বলে ধান পাকা অথবা কাটার সময় হলেই আমাদের একটা না একটা সমস্যা দেখা দেয়।
হয়তো এক বছর ধান কাটলে অতিবৃষ্টি ফলে ধান শুকানো অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। আবার দেখা যায় ধান পেঁকে
গেছে ঠিক সই সময়ই অতিবৃষ্টি , ঝড় তুফান শিলাবৃষ্টির কারনে ধান গাছ ক্ষেতের মধ্যে শুয়ে পরে যার ।
ফলে এ ধান কাটাতে হলে অনেক সময় ২ গুন টাকা বেশি দিতে হয় এছাড়াও আমাদের পাশেই ধল্বেশর ও বুড়িগঙ্গা নদী
থাকার করনেই বর্ষার পানি দ্রুত চলে আসে ফলে আমাদের মত যারা ধান ক্ষেত করে সকলের ই দেখা নানা ধরনের সমস্যা ।
উল্লেখ্য এ বছর বৈশাখের শুরুতে অতিবৃষ্টির কারনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ই অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ধান চাষীদের ক্ষয় ক্ষতির পরিমানটা একটু বেশি। সরকার দেশে এইবার ধান উতপাদনের যে লক্ষমাত্রা দিয়েছে অতিবৃষ্টির কারনে তা পুরন হবার সম্ভাবনা খুব কম।
মো: মাসুদ
নিউজ ঢাকা ২৪ ডটকম।