ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর দেশটির চারটি শহর দখল করেছে রাশিয়া। এর মধ্যে আজ রোববার তিনটি শহর দখল করেন রুশ সৈন্যরা। এ ছাড়া খবর পাওয়া যাচ্ছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ঢুকে পড়ার পর দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে রুশ সেনাদের সংঘর্ষে তুমুল আকার ধারণ করেছে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ । রাজধানী কিয়েভেও চলছে লড়াই।
গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে জল, স্থল ও আকাশপথে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন রুশ সৈন্যরা। অভিযান শুরুর তৃতীয় দিন গতকাল ইউক্রেনের দক্ষিণের জাপোরিঝঝায় অঞ্চলের মেলিটপোল শহর দখল করে নেন রুশ সৈন্যরা। বাকি তিনটি শহর হলো নোভা কাখোভকা, খেরশন ও বারদিয়ানস্ক।
মেলিটপোল দেশটির একটি মাঝারি আকারের শহর। ইউক্রেনের প্রধান বন্দরগুলোর একটি মারিওপোলের কাছেই মেলিটপোলের অবস্থান। ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাশিয়ার সেনাদের একটি দল কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই মেলিটপোল শহরে ঢোকে। এ সময় শহররের কিছু বাসিন্দাকে লাল পতাকা নিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা যায়।
ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ সম্পর্কে দেয়া তথ্য অনুযায়ী আজ দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নোভা কাখোভকা দখলে নিয়েছেন রুশ সেনারা। শহরটি ছোট হলেও কৌশলগতভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শহরটি দিয়ে পানিপথে ক্রিমিয়ায় যাওয়া যায়। ২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ক্রিমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া।
নোভা কাখোভকায় রুশ সৈন্যদের ঢুকে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই শহরের মেয়র ভলোদিমির কোভালেঙ্কো বলেছেন, “রুশ সেনারা শহরের নির্বাহী কমিটির দখল নিয়েছেন। সব ভবন থেকে ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে দিয়েছেন। তিনি শহরের বাসিন্দাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘গোপন আশ্রয়স্থল থেকে বের হবেন না।”
এদিকে আজ মস্কো দাবি করেছে, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরোশেন ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বারদিয়ানস্ক শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেঙ্কোভ বলেছেন, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় খেরোশেন ও বারদিয়ানস্ক শহরের পুরো নিয়ন্ত্রণ দখলে নেন রাশিয়ার সেনারা।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হারকিভের রাস্তায় রাস্তায়ও দেশটির সেনাদের সঙ্গে রুশ সেনাদের লড়াই চলছে। আজ রুশ সেনারা শহরটিতে ঢুকে পড়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এদিকে কিয়েভের উপকণ্ঠে ত্রোয়েশচনিয়া এলাকায় আজ একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। কিয়েভেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।