৩০ অক্টোবরের মধ্যে ফাইভ-জি সেবা চালুর নির্দেশ!

৩০ অক্টোবরের মধ্যে ফাইভ-জি সেবা চালুর নির্দেশ!

আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বিমানবন্দর এবং রাজধানীর চারটি এলাকায় ফাইভ-জি চালুর নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

একইসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায়ও ফাইভ-জি ব্যবহারের কার্যক্রম চলছে বলেও জানান তিনি।

রোববার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবার মান সংক্রান্ত বিটিআরসি আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন তিনি।

পলক বলেন, আমাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের থার্ড টার্মিনাল অক্টোবরে উদ্বোধন হতে পারে। অক্টোবরকে টার্গেট করে চারটি মোবাইল অপারেটরকে একটি চ্যালেঞ্জ দিতে চাই, যেন অক্টোবরের ৩০ তারিখের মধ্যে ফাইভজি ওখানে নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি গুলশান, বনানী, মতিঝিল, আগারগাঁও এলাকায় ফাইভজি এনাবল অনেক স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয় বেশি। আমার বিশ্বাস এখানেও মনোযোগ দেবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায় কীভাবে ফাইভজি ও আইওটি কীভাবে ব্যবহার করতে পারি সে বিষয়েও কাজ করছি। আমরা আশা করি সেখানেও দ্রুত আমরা ফাইভজি ব্যবহার করতে পারব।

আন্তর্জাতিক মানের মোবাইল গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলো গ্রাহকদের প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান, গ্রাহক পর্যায়ে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট প্রদান এবং অপারেটরগুলোকে যেসব সুবিধা আমরা দিচ্ছি সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায়  ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং মোবাইল অপারেটরগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগে দেশে মোবাইল সেবাকে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডে উপনীত করতে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে।

কোভিডের সময় মোবাইল অপারেটর দের ভূমিকার প্রশংসা করে পলক বলেন, মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকেরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকেরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট। বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়।

‘আমরা একটা স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই’ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাবো বা রিঅ্যাকশন না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত শুধুমাত্র কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না। যেভাবেই হোক আমরা গ্লোবাল বেঞ্চ মার্কে উন্নীত হতে চাই। কারণ এটা আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের একটা বড় প্রভাব ফেলে।

তিনি বলেন, কলড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা আমরা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে যাব। মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর গুলো যদি প্রতিশ্রুত সেবা না দেয় তাহলে তাদের গ্রাহককে আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা মনিটরিং এবং অডিট নিয়মিত করব। কল ড্রপ নিয়ে ঢাকার কয়েকটি এলাকার ড্রাইভ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে পলক বলেন, শহর বা গ্রাম যেখানেই হোক আমরা মিডিয়ার যে রিপোর্ট, সেগুলো আমলে নেব এবং সেখানে আমরা ড্রাইভ দেব।

ফাইন্যান্সিয়াল অডিট এবং টেকনিক্যাল অডিটের ওপর জোর দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

আরো পড়ুনঃ অনলাইন জুয়া বেড়েছে, নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন- সিআইডি

Check Also

ঘরে বসেই অনলাইনে জিডি করা যাবে!

সজিবুল ইসলাম হৃদয়, প্রযুক্তি ডেস্ক ঃ এখন আর ডায়েরি (জিডি) করতে থানায় গিয়ে আবেদনপত্র লিখতে …