কেরানীগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে গার্মেন্ট ব্যবসায়ীর আত্মহনন

কেরানীগঞ্জে মোঃ জীবন মিয়া (৩৮) নামে একজন গার্মেন্টের ঝুট কাপড়ট ব্যবসায়ী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার বিকালে আগানগর ইস্পাহানী আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া ফ্লাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থনা পুলিশ। ৩ রুমের ফ্লাটে দুই কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে বাস করতেন জীবন।

নিহতের স্ত্রী জানান, দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি এক রুমে ছিলেন। অন্য একটি রুমে বিশ্রামের কথা বলে দরজা বন্ধ করে দেন তার স্বামী জীবন। প্রায় ঘন্টাখানেক পর তিনি স্বামী জীবনকে দোকানে যাওয়ার জন্য ডাক দেন। ভিতর থেকে জীবনের কোন সাড়া না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে উকি মেরে দেখতে পান জীবন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। এ ঘটনা দেখার পর ডাকচিৎকার করতে থাকি। আমার ডাকচিৎকার শুনে আশপশের ফ্লাটের লোকজন এসে জবিনকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

প্রতিবেশীরা জানান, কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ এলাকায় ঝুট কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে জীবনের। ক্রমাগত ব্যবসায় লোকসানের কারনে ব্যাংক থেকে মোটা অংকের টাকা ঋন নিয়ে পরিশোধ করতে পারছিলেন না তিনি। ব্যাংক ছাড়া স্থানীয় দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও টাকা নেন। সব মিলিয়ে কোটি টাকা ঋনের বোঝা মাথায় ছিল তার। পাওনাদারদের তাগাদা থেকে মুক্তি পেতে হয়তো তিনি এ পথ বেছে নেন।

দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান জানান, ইস্পাহানী আবাসিক এলাকার একটি ফ্লাট থেকে এস আই মুনসুর আহমেদ ঝুট কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ জীবন মিয়ার গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল করেঝ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে। তবে কি কারনে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন সেটা জানা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের পর আসল রহস্য বলা যাবে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিউজ ঢাকা

আরো পড়ুন,জনগনের সেবক হয়ে আবারও কাজ করতে চাই : আব্দুর রহমান মিয়াজী

Check Also

সুইডেনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দল

সুইডিশ পার্লামেন্টারি ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির ডেপুটি লটা জনসন ফরনার্ভ এবং মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন …