সজিবুল ইসলাম হৃদয়, নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শশুড় বাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রীর হাতে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তনে প্রাণ হারালেন স্বামী কাবিল বিশ্বাস (২২)। এ ঘটনায় স্ত্রী রুবি খাতুনকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১২ জানুয়ারি) ভোরে গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা মাছপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। মধ্য রাতে কোন এক সময় স্ত্রী রুবি খাতুন স্বামীর পুরুষাঙ্গ পুরুষাঙ্গ কর্তন করলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
কাবিল বিশ্বাস পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধানকুরিয়া চরপাড়া গ্রামের নওশের বিশ্বাসের ছেলে। পেশায় ভাঙরী ব্যবসায়ী কাবিল বিশ্বাসের সঙ্গে চার মাস আগে আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে রুবি খাতুনের বিয়ে হয়। রুবি গুরুদাসপুর উপজেলার মাশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর মেয়ে।
রুবি খাতুনের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৪ মাস পূর্বে কাবিল হোসেনের সাথে ও রুবি খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কাবিল হোসেন যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে স্ত্রীর ওপর যৌন নির্যাতন চালাতে থাকে। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত দুই সপ্তাহ আগে রুবি খাতুন তার বাবার বাড়িতে চলে আসে।
শুক্রবার কাবিল বিশ্বাস মাশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়ীতে আসেন। রাতে পুনরায় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে যৌন নির্যাতন শুরু করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। এর একপর্যায়ে ভোরে স্ত্রী রুবি খাতুন ধারালো হাসুয়া দিয়ে স্বামী কাবিল বিশ্বাসের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই কাবিল হোসেনের মৃত্যু হয়।
স্ত্রী রুবি খাতুন জানান, অতিরিক্ত যৌন নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি স্বামী কাবিল বিশ্বাসের যৌনাঙ্গ কর্তন করেছেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি ভিকটিমকে আটক করা হয়েছে। রুবি ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।