প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যতদিন হাওরাঞ্চলের প্রতিটা ঘরে খাদ্য না থাকবে ততদিন হাওর অঞ্চলে ভিজিএফ কার্ড এর মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ করা হবে।এই এলাকার একটা মানুষ ও না খেয়ে থাকবে না।রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জে এক সমাবেশে একথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন আমাদের হাতে প্রচুর খাদ্য মজুদ আছে। আমরা দুর্গতদের পাশে আছি। সবাইকে সহযোগিতা করা হবে। আগামী ফসল না ওঠা পর্যন্ত এই এলাকার কোন মানুষ ই না খেয়ে থাকবে না।তবে ভিক্ষা করে খাদ্য আনবো না । প্রয়োজনে খাদ্যদ্রব্য আমদানি করবো।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, বন্যা কবলিত হাওরাঞ্চলে এই পর্যন্ত ৩ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।কৃষকদেরকে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরন করা হবে। রাষ্টীয় ব্যাংক গুলো কৃষি ঋণের সুদের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে।এবং ঋণ পরিশোধ করতে কৃষকদের কোন চাপ দেয়া হবে না।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাধ নির্মানের ক্ষেত্রে কারো গাফলতী দেখা যায় তা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। ভবিষ্যতে হাওড় এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান করা হবে।
যাতে হাওরাঞ্চলের লোকজন বন্যায় আশ্রয় নিতে পারেন।এর আগে রবিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্থ হাওরাঞ্চলের মানুষের অবস্থা স্বচোক্ষে পরিদর্শনের জন্য হেলিকপ্টারে করে হাওড় এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।এ সময় ওবায়দুল কাদের, মতিয়া চৌধুরি, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।
হাওরাঞ্চলে মে মাসের দিকে উজানের ঢলে বন্যা হলেও এবার পানি চলে এসেছে অনেক আগেই।
আর চলতি বছর যে পরিমান পানি এসেছে, তা এর আগে দেখা যায় নি ।
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতের কারনে আকস্মিক বন্যায় উত্তর-র্পূবাঞ্চলের ব্যাপক এলাকা ডুবে গেছে।
ফলে এলাকার ধানের অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। কোটি কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে।
হাজার হাজার কৃষকের জীবিকা ঝুকুর মধ্যে পড়েছে। বন্যায় , সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ,নেত্রকোনা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ১৭ ই এপ্রিল রাষ্টপতি আব্দুল হামিদ একটি অনুষ্ঠানে এক ই কথা বলেন।রাষ্টপতি বলেন, হাওরাঞ্চলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্রুতই হাওড়বাসী এই ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে। আর যে পর্যন্ত এই অবস্থা থাকবে ঐ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে হাওড়বাসীকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। হাওরাঞ্চলের কেউ না খেয়ে থাকবে না।