বুড়িগঙ্গা চীন-মৈত্রী সেতু টোলমুক্ত করার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সেতুর পাদদেশ ও ঢাকা-মাওয়া মহা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন যানবাহনের কয়েক হাজার চালক ও শ্রমিক।
সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বাস ও ট্রাক এলোপাতাড়ী রেখে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। এসময় সেতু দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা ২টার দিকে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। ৮ ঘন্টা পর যান চলাচল শুরু হলেও সেতুতে সিএনজি চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে।
বুড়িগঙ্গা চীন-মৈত্রী সেতু টোলমুক্ত আন্দোলন কমিটির সভাপতি ও ঢাকা জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি এমদাদুল হক দাদন বলেন , গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন যানবাহন থেকে যে হারে সেতুর টোল আদায় করা হচ্ছিল মঙ্গলবার থেকে হঠাৎ করে টোলের হার কয়েকগুন বৃদ্ধি করে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। এমনকি যে সব গাড়ী (সিএনজি, মোটরসাইকেল) ফ্রি চলাচল করতো সেসব গাড়ীর জন্য টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন পরিবহন শ্রমিক ও চালকরা। ওই দিনই এর প্রতিবাদ জানিয়ে সিএনজি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টির যৌক্তিক কোন সমাধান না করায় বুধবারও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। এক পর্যায়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি সমাধানের। তাদের আশ্বাসে দুই দিনের জন্য সড়ক অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছে। তবে শান্তিপূর্নভাবে আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা দুইদিন অপেক্ষা করবো। এতেও সমাধান না হলে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য যানবাহন সেতু দিয়ে চলাচল করলেও সিএনজি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বুড়িগঙ্গা চীন-মৈত্রী সেতুর ইজারাদার প্রতিষ্ঠান কে. আলম শিপিং লাইন এর পরিচালক মাইনুদ্দিন চিশতী বলেন, এতদিন সড়ক ও জনপদ বিভাগ নিজেরাই সেতুর টোল আদায় করতো। মঙ্গেলবার থেকে তারা সেতুর ইজারার দায়িত্ব বুঝে নেন এবং সরকার নির্ধারিত হারে টোল আদায় করছেন। তিনি আরও বলেন. আমরাতো টোল বৃদ্ধি করিনি। সড়ক ও জনপদ বিভাগ যে হার নির্ধারন করে দিয়েছে, আমরা সেই হারেই টোল আদায় করছি।
এবিষয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, টোলমুক্ত দাবিতে সড়ক অবরোধ করা হয়েছিল। দুপুরের পর অবরোধ তুলে নেয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে সিএনজি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ.এইচ.এম সাগর।