আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ (পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য এবং দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকার সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক । অনেক দিন ধরেই রাজবাড়ী-২ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে গণসংযোগ করে চলেছেন তিনি।
তৃনমুলে পৌঁছে দিচ্ছেন বর্তমান সরকারের সাফল্য ও উন্নয়নের বার্তা । অসাস্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী এইনেতা সমাজ উন্নয়নে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে চলেছেন অবিরত। শিক্ষার প্রসারেও রেখে চলেছেন প্রসংসনীয় ভূমিকা। নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা ও সমাজসেবা মূলক প্রতিষ্টান। মৃগী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন শিকজান আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিরও।
নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে আছি। আওয়ামীলীগের নির্যাতিত, বঞ্চিত নেতাকর্মীদের পাশে রয়েছি। সাধ্যমতো চেষ্টা করছি এলাকার সব মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হওয়ার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, দলীয় সব নেতাকর্মীর এমপি- মন্ত্রীর আমল নামা তাঁর হাতে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী নির্যাতনকারী, দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী, টেন্ডারবাজ, ভূমিদস্যু স্বজনপ্রীতি করা এমপি মন্ত্রী বা নেতারা কেউ এবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন না।
জনগনের বিশ্বাস মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কথার সত্যিকারের বাস্তবায়ন হলে রাজবাড়ী-২ আসনে নতুন মূখের প্রার্থী হওয়া এখন সময়ের দাবি। জননেত্রীর কথার আলোকে এই আসনের তৃণমূল ও সত্যিকার জনমতের ভিত্তিতে মনোনয়ন দিলে আমিই মনোনয়ন পাবো বলে বিশ্বাস করি এবং আমাকে মনোনয়ন দিলে ইনশাল্লাহ আমি জয়লাভ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা এই আসন উপহার দিতে সক্ষম হবো। উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বিতা করে আমি নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী ছিলাম, জনগনের বিশ্বাস অদৃশ্য ইশারায় আমার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিলো।
রাজবাড়ী-২ আসনে আওয়ামীলীগের প্রকৃত নেতাকর্মীরা আজ দল ক্ষমতায় থাকার পরও বিরোধীদলের চাইতেও খারাপ অবস্থায় আছে। আমার এলাকার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত নিপীড়ন, নির্যাতন ভোগ করতে হচ্ছে সেগুলো সহ্য করার মত নয়। রাজবাড়ী-২আসনে আওয়ালীগের সাংগঠনিক প্রতিটি স্তরে সীমাহীন গ্রুপিং সৃষ্টি করা হয়েছে, সংগঠনের একজন কর্মী হিসেবে তা আমাকে সত্যিই ব্যাথিত করে। আল্লাহপাক যদি আমাকে কোনদিন ক্ষমতায় আসিন করেন তাহলে নির্বাচনী এলাকার দলীয় কোন্দল, স্বজন প্রীতি,প্রতিহিংসার রাজনীতিকে নির্বাসনে পাঠিয়ে তৃণমূল থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্ত যোগ্যতানুযায়ী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে দলকে গতিশীল এবং শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের প্রয়াসে ও সুন্দর সমৃদ্ধ রাজবাড়ী জেলা গড়তে নেওয়া হবে সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত।