রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের গয়াসপুর-নারুয়া গ্রাম এলাকায় গড়াই নদী র পানি হ্রাসের সাথে সাথে আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বাড়ী-ঘর, গাছ-পালা ও ফসলী জমি ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের গয়াসপুর-নারুয়া গ্রাম এলাকায় গড়াই নদী তে পানি হ্রাসের সাথে সাথে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে বাড়ী-ঘর ও গাছ পালা কেটে সরিয়ে নিচ্ছে। ভাঙ্গনের ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্ধা আমির হোসেন, শরিফুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে বাড়ী ও ফসলী জমিতে ফাটল দেখা যায়। গাছ সরিয়ে নেওয়ার আগেই গড়াই নদীতে চলে যায়। ১০-১২জন করাতি দিয়ে গাছ কাটার কাজ করা হচ্ছে। বাড়ীর ঘরও সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পানি হ্রাসের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে এ এলাকার মানুষের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হবে।
রাজবাড়ী জেলা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি মোঃ মোকারম হোসেন জানান, নদী ভাঙ্গন রোধে সরকারী ভাবে পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করে তারা যাতে নতুন করে ঘর করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম মাষ্টার জানান, নারুয়া ইউনিয়নের মরাবিলা, কোনাগ্রাম, জামসাপুর, গয়াসপুর, নারুয়া, সোনাকান্দর, বাঙ্গরদাহ এলাকায় গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি ও হ্রাসের সাথে সাথে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এ বছরও নদীতে বিলীন হয়েছে বেড়িবাঁধসহ ফসলী জমি ও ঘরবাড়ী।
২দিন ধরে গয়াসপুর ও নারুয়া গ্রাম এলাকায় প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এ বছর ভাঙ্গন প্রতিরোধে নারুয়া খেয়াঘাট এলাকায় শুধু জিও ব্যাগ ফেলানো হয়। নদী ভাঙ্গন কবলিত পরিবারকে শুধু ১০ কেজি করে চাউল প্রদান করা হয়েছে। তবে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী।
রাজবাড়ি প্রতিনিধি।
নিউজ ঢাকা ২৪।