কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কলাতিয়ায় ড্রীম প্লাজা সংলগ্ন সমশেরপুর গ্রামের জনৈক সামসুদ্দিন বাবুলের বাড়িতে মঙ্গলবার মধ্য রাতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে ওই বাড়ির মালিকের প্রায় ২০/২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন ।
বাড়ির মালিকের নাম মোঃ সামসুদ্দিন বাবুল (৬২)বলেন, তার পিতার নাম মৃতঃ আব্দুল সামাদ। তিনি কলাতিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। তিনি আগুনলাগার টের পেয়ে ডাকচিৎকার করেন। তার চিৎকাারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। সবাই মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশে খবর দেয় ।
খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এবং কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট প্রায় এক ঘন্টা চেস্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ সজিব সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা আগুনের ঘটনা শুনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আমাদের দুটি ইউনিট প্রায় এক ঘন্টা কাজ করার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। আগুন লাগার কারন সম্পর্কে এখোনো কিছু জানতে পারিনি।
আগুনে সামসুদ্দিন বাবুলের ৩টি সেমি পাকা ঘরের সব আসভাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতির পরিমান হিসাবে মালিক বলছেন বিশ-পঁচিশ লাখ। আমার ধারন পনের লাখ হবে।
কেরানীগঞ্জে হযরতপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর ও জিনজিরা ইউনিয়নের মনু বেপারীর ঢাল এলাকায় ককটেল বিস্ফোরন ও গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় বুধবার পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে মডেল থানা পুলিশ।
জগন্নাথপুরের ঘটনায় কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলাকরেন। এ মামলায় ২০৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জন কে আসামী করা হয়েছে।
অন্যদিকে মনু বেপারীর ঢালের ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এস আই ফরহাদ হোসেন ছোটন বাদী হয়ে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৯০ থেকে ১০০ জনকে আসামী করে একটি মামলাকরেন
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে