রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে সাপের কামড় এ লিটন কুমার মন্ডল (২২) নামে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের চরপোটরা গ্রামের নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে। সে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের মাষ্টার্স পড়ুয়া ছাত্র।
জঙ্গল ইউপি সদস্য মনোজিৎ কুমার বালা জানান, উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের চরপোটরা গ্রামের নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের মাষ্টার্স ছাত্র লিটন কুমার মন্ডল (২২) রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ীর পাশে পুকুর থেকে গোসল করে বাড়ী ফিরছিল। ফেরার পথে ডান পায়ে বিষধর সাপে কামড় দেয়।
তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয় ওঝা দিয়ে ঝাড়ফোক করানো হয়। তার অবস্থা বেগতিক দেখে রাত সাড়ে ১১টার দিকে দ্রুত তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মধুখালীতে মারা যায়। পরে তাকে বাড়ীতে ফেরত আনা হয়। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শেখ রনজু
নিজউ ঢাকা ২৪।
আরো পড়ুন: কেরানীগঞ্জে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মানসিক প্রতিবন্ধী ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের ঘটনা ঘটেছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী ইউনিয়নের কালিন্দী গ্রামে এ খুন এর ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম খাজা আসাক কাদির (৫৫)।
নিহতের পিতার নাম মৃতঃ ছোবাহান কাদির। ঘাতক ছোট ভাই খাজা আরমান কাদির (৪৫)। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। নিহতের পরিবার ও এলাকা সুত্রে জানাযায় ঘাতক আরমান একজন মানসিক প্রতিবন্ধি (পাগল)। সে কিছুদিন ভাল থাকে আবার কিছু দিন মাথা নস্ট থাকে।
নিহতের ভাগ্নে মোঃ নুরে আলম জানান শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের পর এলাকার মধ্যে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত ছিল। আমরা সবাই সেখানে চলে যাই। নিহত আসাক মামা বাড়ি থেকে পরে বের হয়ে বিয়ে বাড়ির উদ্যেশে রওনা হয়। এ সময় আরমান মামা বাড়ির বাহিরে দাড়িয়েছিল। আসাক মামা বাড়ি থেকে বের হয়ে আরমান মামাকে ঘরের ভিতর যেতে বললে সে উত্তেজিত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে আরমান মামা আসাক মামার সাথে চেচামেচি করতে থাকে। তখন আসাক মামা আরমান মামাকে ধমক দিলে সে দৌড়ে ঘর থেকে ছুরি এনে এলাপাথারী কোপাতে থাকে।
পরে আসাক মামার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আরমান মামাকে ছাড়িয়ে দিয়ে আমাদের খবর দিয়ে আসাক মামাকে চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত মিটফোর্ড হাসপাতালে এসে জানতে পারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এস আই আবু হেনা মোস্তফা রেজা জানান, দুপুর আড়াইটায় লোকমুখে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খুনের সত্যতা পাই। এসময় নিহত আসাক কাদিরের লাশ হাসপাতালে ছিল। খুনের ঘটনা প্রাথমিকভাবে জানতে পারি, ছোট ভাই আরমান কাদির একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। বড় ভাইয়ের সাথে কথাকাটা করে নিজ ঘর থেকে ছুরি এনে বড় ভাইকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে।
আশপাশের লোকজন ও স্বজনরা আহত অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসার জন্য আসাক কাদিরকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।