নড়াইলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত। ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নড়াইল পুলিশের সুত্রে জানা যায়, মোট গ্রেফতার ৩০ জন। সদরে ১১ জন, লোহাগড়া ৭ জন, কালিয়া ৫ জন, নড়াগাতি ৭ জন)।
সদরে যে ১১ জন কে গ্রেফতার করা হয় তাদের কাছে ১৬ পিস ইয়াবা, ৩০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়। লোহা গোড়ায় গ্রেফতারকৃতদের কাছে ১০ পিস ইয়াবা ১০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়। কালিয়ায় ৬ পিস ইয়াবা এবং লোহাগড়া ২০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার কার হয়।
গ্রেফতারের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, পিপিএম, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান, সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ জালাল উদ্দিন, সহকারি পুলিশ সুপার (প্র.বি.) মোঃ ইশতিয়াক আহম্মেদ, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন, ডিবি পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান।
আরো পড়ুন: কেরানীগঞ্জে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মানসিক প্রতিবন্ধী ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের ঘটনা ঘটেছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী ইউনিয়নের কালিন্দী গ্রামে এ খুন এর ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম খাজা আসাক কাদির (৫৫)।
নিহতের পিতার নাম মৃতঃ ছোবাহান কাদির। ঘাতক ছোট ভাই খাজা আরমান কাদির (৪৫)। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। নিহতের পরিবার ও এলাকা সুত্রে জানাযায় ঘাতক আরমান একজন মানসিক প্রতিবন্ধি (পাগল)। সে কিছুদিন ভাল থাকে আবার কিছু দিন মাথা নস্ট থাকে।
নিহতের ভাগ্নে মোঃ নুরে আলম জানান শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের পর এলাকার মধ্যে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত ছিল। আমরা সবাই সেখানে চলে যাই। নিহত আসাক মামা বাড়ি থেকে পরে বের হয়ে বিয়ে বাড়ির উদ্যেশে রওনা হয়। এ সময় আরমান মামা বাড়ির বাহিরে দাড়িয়েছিল। আসাক মামা বাড়ি থেকে বের হয়ে আরমান মামাকে ঘরের ভিতর যেতে বললে সে উত্তেজিত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে আরমান মামা আসাক মামার সাথে চেচামেচি করতে থাকে। তখন আসাক মামা আরমান মামাকে ধমক দিলে সে দৌড়ে ঘর থেকে ছুরি এনে এলাপাথারী কোপাতে থাকে।
পরে আসাক মামার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আরমান মামাকে ছাড়িয়ে দিয়ে আমাদের খবর দিয়ে আসাক মামাকে চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত মিটফোর্ড হাসপাতালে এসে জানতে পারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এস আই আবু হেনা মোস্তফা রেজা জানান, দুপুর আড়াইটায় লোকমুখে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খুনের সত্যতা পাই। এসময় নিহত আসাক কাদিরের লাশ হাসপাতালে ছিল। খুনের ঘটনা প্রাথমিকভাবে জানতে পারি, ছোট ভাই আরমান কাদির একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। বড় ভাইয়ের সাথে কথাকাটা করে নিজ ঘর থেকে ছুরি এনে বড় ভাইকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে।
আশপাশের লোকজন ও স্বজনরা আহত অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসার জন্য আসাক কাদিরকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।