কথা কাটাকাটির জের ধরে জুয়েল (১৭) নামে এক বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করে আহত করেছে তারই অপর তিন বন্ধু । বন্ধুদের ছুরিকাঘাতের ফলে জুয়েলের পেট কেটে ভুড়ি বেরিয়ে গেছে। এলাকাবাসি তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া কালভার্টের সামনে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা ঘাতক অপর তিন বন্ধুকে পালিয়ে যাবার সময় আটক করে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। আটককৃতরা হলেন- সিফাত (১৬), রাতুল (১৭) ও আরিফ (১৭)।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার এসআই ওবাইদুল হক জানান, আহত জুয়েল ও ঘাতক আরিফ এক সঙ্গে টাইলস মিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাজ করে। শুক্রবার দুপুরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রাত ৮টার দিকে আরিফ ও তার দুই বন্ধু ছুরি নিয়ে জুয়েলের উপর হামলা চালায়। জুয়েলের পেটে ছুরিকাঘাত করলে তার ভুড়ি বেরিয়ে যায়। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আরিফ, রাতুল ও সিফাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ শাজামান জানান, মূমুর্ষ অবস্থায় জুয়েলকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় জুয়েলের বড় ভাই সোহেল হাওলাদার বাদী হয়ে একটি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ.এইচ.এম সাগর।
আরো পড়ুন : পাওয়া গেছে
কেরানীগঞ্জের কদমতলী বাসষ্টান্ড এলাকায় এক কোনে দাড়িয়ে ছয়-সাত বছরের একটি বালককে কান্না করতে দেখে পথচারীরা। পরে শিশুটিকে নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় তার নাম মোঃ হাসান। পিতার নাম বাবুল চোকিদার। আর কিছু বলতে পারে না।
ছেলেটিকে নিয়ে পথচারীরা বিপাকে পড়ে যায়। পথচারীরা কোন উপায়ান্ত না পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে দিয়ে আসে।দুপুরে মডেল থানায় গিয়ে ছেলেটির সাথে কথা হলে তিনি জানান, তার নাম মোঃ হাসান, পিতার নাম বাবুল চোকিদার,মা পারভীন বেগম। বাড়ির কথা জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় শ্রীপুর।
ঢাকায় কিভাবে এসেছে জানতে চাইলে হাসান জানান, আমি গাড়িতে চড়ি শ্রীপুর নদীর ধারে যাওয়ার জন্য গাড়িটি আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। আমি গাড়ি থেকে কান্না করলে লোকজন আমাকে এখানে এনে রেখে গেছে। মা-বাবা কোথায় জিজ্ঞাসা করলে জানায়, আমার বাবা নাই, মা গার্মেন্টে যায় (গার্মেন্ট কর্মী)।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি সাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, শুক্রবার রাতে কয়েকজন পথচারী ছেলেটিকে কদমতলী বেবী ষ্টান্ডের সামনের রাস্তায় ছেলেটিকে কান্না করতে দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে ছেলেটি হারিয়ে গেছে। ছেলেটি নিজ নাম, বাবা-মায়ের নাম বলতে পারলেও ঠিকানা একেক সময় একক রকম বলছে। সে যে ঠিকানার কথা বলতেছে আমরা সে এলাকার থানার মাধ্যমে খোজ খবর নিয়ে তা সঠিক পাচ্ছি না। ছেলেটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। যদি কেউ ছেলেটির চিনতে পারেন তাহলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি।