কোরবানীর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। ইতিমধ্যে হাটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। হাটগুলো ভরে উঠবে নানা আকারের গরু-ছাগলে। কিন্তু এতো গরুর মধ্য থেকেও নিজের মনের মতো একটি ভালো গরু কেনা সহজ নয়। কৃত্রিমভাবে স্টেরয়েড খাইয়ে মোটা তাজা গরুর ভিড়ে সত্যিকার স্বাস্থ্যবান ও সুস্থ্ গরু চেনা একটু কঠিন বটে।
তবে কিছু বিষয় খেয়াল করলে ভালো গরু চিনে নেওয়া সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্টেরয়েডে মোটাতাজা করা গরু না খাওয়াই ভালো। কারণ এ ধরণের গরুর মাংস খেলে হতে পারে নানান জটিল রোগ। ষ্টেরয়েড দিয়ে মোটা বানানো গরুর মাংসে থাকে অতিরিক্ত ষ্টেরয়েডযুক্ত পানি। যা স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। কোরবানির ২০ থেকে ২৫ দিন আগে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতিটি গরুকে এক সাথে ২০ থেকে ৩০টি পর্যন্ত ট্যাবলেট খাওয়ান। ইনজেকশনও দেওয়া শুরু করেন। এতে গরু অতি দ্রুত মোটা হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত হরমোন খাওয়ানো গরুর মাংস আগুনেও হরমোনমুক্ত হয় না।
এ ব্যাপারে প্রাক্তন পশু সম্পদ কর্মকর্তা রমেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বলেন, অতিমাত্রায় হরমোন ব্যবহার করলে গরুর শরীরে ব্যাপক পানি জমে। এতে গরু মোটাতাজা দেখায়। কিন্তু গরুর কিডনি, লিভার ও পাকস্থলি নষ্ট হয়ে যায়। এই গরুর মাংস খেলে মানবদেহে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ভালো গরু চিনে নিতে রমেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের মতে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে ভালো গরু চিনে নেওয়া সম্ভব। তিনি জানান, স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো বা ইনজেকশন দেয়া গরু হবে খুব শান্ত। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবে না। পশুর ঊরুতে অনেক মাংস মনে হবে। অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখাবে। আঙ্গুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে সেখানে দেবে গিয়ে টোল পরে থাকবে। গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি নিজ থেকে জিব দিয়ে খাবার টেনে নিয়ে খেতে থাকে তবে বোঝা যাবে গরুটি সুস্থ। যদি অসুস্থ হয়, তবে সে খাবার খেতে চায় না।
সুস্থ গরুর নাকের উপরটা ভেজা ভেজা থাকে। সুস্থ গরুর পিঠের কুঁজ মোটা ও টান টান হয়। বিশেষ করে গরুর পা ও মুখ ফোলা, শরীর থলথল করবে, অধিকাংশ সময় গরু ঝিমাবে, সহজে নড়াচড়া করবে না।
এসব গরু অসুস্থতার কারণে সবসময় নিরব থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। খাবারও খেতে চায় না। এবং কোরবানীর জন্য দুই বছরের কম বয়সের গরু বা মহিষ এবং ৬ মাসের কম বয়সের ছাগল বা ভেড়া কোনভাবেই উপযুক্ত নয়। শিং ভাঙ্গা আছে কিনা, লেজ, মুখ, দাঁত, খুর এসব কিছুই ভালমত পরীক্ষা করে দেখা উচিত। পশু কেনার আগে এর শরীরের কোথাও ক্ষত চিহ্ন আছে কিনা তা ভালভাবে দেখে নেয়া দরকার। গাভী না কেনাই ভালো।
ভালো গরু কেনার জন্য রমেন্দ্র চন্দ্র বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। দিনের আলো থাকত থাকতেই গরু কিনে ফেলা দরকার, কারণ রাতের বেলায় অনেক সময় রোগাক্রান্ত গরু দেখে বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। মোটা গরু মানেই কিন্তু সুস্থ গরু নয়। মোটা গরুতে চর্বি অনেক বেশি হয়, যা খাওয়ার পর মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। আর এ ধরণের অস্বাভাবিক মোটা গরু কিন্তু বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেও মোটাতাজা করা হতে পারে। দেশি গরু কেনাই ভালো কারণ সীমান্ত— পার হয়ে আসা গরুগুলো অনেক দূর থেকে আসে বলে ক্লান্ত হয়, আর অনেক সময় ছোট-খাট আঘাতপ্রাপ্তও হয়। আর দুর্বল গরু সুস্থ নাকি অসুস্থ সেটা বোঝা বেশ কষ্টকর।
এ.এইচ.এম সাগর
horse ivermectin for humans https://ivermectin.mlsmalta.com/
hydroxychloroquine and blood clots https://hhydroxychloroquine.com/
do gas stations sell dapoxetine https://salemeds24.wixsite.com/dapoxetine
tricks for best use of dapoxetine https://dapoxetine.confrancisyalgomas.com/
maximum vidalista dosage per day https://vidalista40mg.mlsmalta.com/
cialis overnight shipping from usa https://wisig.org/
hydroxychloroquine sulfate 200 mg for sale https://hydroxychloroquinee.com/
albuterol 90 mcg inhaler coupons https://amstyles.com/
how much is priligy for daily use https://ddapoxetine.com/
difference between tadalafil and cialis https://tadalafil.cleckleyfloors.com/
erectile dysfunction pills buy http://cialllis.com/