বাণিজ্য মেলার জন্য ঢাকায় একটি স্থায়ী কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা র স্থান পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আগামী ২০২১ সাল থেকে এই মেলার আয়োজন করা হবে রাজধানীর পূর্বাচলে।
আজ মঙ্গলবার (১০ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির(একনেক) চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ’ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে পূর্বাচল নিউ টাউনে বাণিজ্যমেলার জন্য এক্সিবিউশন সেন্টারটি নির্মিত হবে। এটি নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা করা হয়েছে ১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকার ৬২৫ কোটি টাকা ঋণ দেবে। মোট ২০ একর জমিতে নির্মিত হবে এটি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়িত হবে।
এছাড়াও সারাদেশে পুরাতন খাদ্য গুদামগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিক করে গড়ে তোলাসহ মোট ৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। ৪টি নতুন ও দু’টি সংশোধিত প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৯২০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
আরো পড়ুন: ভারতের পচা মাংশ খায় বাংলাদেশীরা।
পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে পচা মাংস সরবরাহ হচ্ছে রেস্টুরেন্টে, সম্প্রতি এমন অভিযোগ ওঠার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশটিতে। শুধু কলকাতার হোটেলগুলোতেই নয়, ভাগাড়ের পচা মাংস পাচার হতো বিদেশেও।
প্রক্রিয়াকরণের পর প্যাকেটজাত মাংস চলে আসত বাংলাদেশে। এই অবৈধ ব্যবসার মূলহোতাদের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদপত্রের খবর বলা হয়েছে, বজবজ এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে মরা পশুর মাংস পাচার হত শহরের হোটেলগুলিতে। সস্তা দামের খাবারে যে মাংস দেয়া হত তা আসত ডাস্টবিন থেকেই।
মরা পশুর মাংস পাচারের সঙ্গে যুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই চক্রের মূলহোতা সানির হদিশ মেলে। বৃহস্পতিবারই বিহারের নওদা থেকে গ্রেপ্তার করা সানিকে। তবে শুধু বজবজ নয়, ভাগাড় কাণ্ড ছড়িয়েছে আরো বিস্তীর্ণ এলাকায়। ট্যাংরা, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল-সহ একাধিক জায়গায় হানা দেয় পুলিশ। খোঁজ মেলে হিন্দুস্তান কোল্ড স্টোরের।
হিমঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে জমা রাখা হত টন টন মাংস। প্রথমে মরা পশুর মাংসকে বিভিন্ন রাসায়নিকের সাহায্যে প্রক্রিয়াকরণ করা হত। পরে তা প্যাকেটজাত করে রাখা হত হিমঘরেই। দেখে মনে হত একেবারে আসল টাটকা মাংসের মতোই। এই মাংসই চালান হত নিম্নদরের হোটেলে।