নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির জন্য ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ বাবদ পাচ্ছে ৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। প্রতি ডলার যদি ৮৩ টাকা ধরে হিসাব করা হয় তাহলে এ অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।
বিমানটি বীমা কোম্পানি থেকে এই ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে। ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিধ্বস্ত ইউ এসবাংলা উড়োজাহাজের পুনঃবীমা কোম্পানি সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান।
তবে ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার এবং আহতরা কি পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাবেন সেটি এখনও নির্ধারণ হয়নি। বলা হচ্ছে, যাত্রীরা তাদের বয়স, আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কোম্পানিটির বীমা করা আছে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সে। আর পরে সেনা কল্যাণ পুনঃবীমা করেছে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে। ফলে এয়ারলাইন্স কোম্পানিটিকে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণের একটি অংশ দিতে হবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনকে।
সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সিইও শাহরিয়ার আহসান বলেন, ‘ইউএস-বাংলা ৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার ক্ষতিপূরণ পাবে। আর প্রত্যেক যাত্রীর জন্য ২ লাখ ইউএস ডলার বীমা করা আছে। তবে যাত্রীরা এই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না।
নিহত-আহতরা তাদের বয়স, আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার ওপর ভিত্তি করে ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে নিহত ও আহতদের প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ সমান হবে না।’ অন্য একটি সূত্র বলছে, নিহত-আহতরা সর্বোচ্চ ১ লাখ ইউএস ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন।
চলতি মার্চ মাসের ১২ তারিখ মোট ৭১ জন যাত্রী নিয়ে ইউএস-বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইট নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এতে মোট ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন প্রাণ হারান। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ২০ জনকে। দুর্ঘটনার প্রায় ১২দিন পর ক্ষতিপূরণের বিষয়টি জানা গেল।
আরো পড়ুন: ১৫০০ টাকায় বিমান ভ্রমন
জাহিদুল ইসলাম।
তথ্যসুত্র: ইন্টারনেট ডেস্ক।