এক সময় মানুষ তার মূল্যবান অর্থ ব্যাংকে জমা রাখতো। কারন তার কষ্টের টাকা থেকে যেন কিছু সঞ্চয় হয়।কিন্তু ছোট-বড় সকল ব্যবসায়ীরা অনেকেই এখন ব্যাংকে না রেখে টাকা রাখছেন নিজ বাড়িতে।
এতে ব্যাংকিং খাতে নগদ টাকার সংকট তৈরি হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে,ব্যাংকের বাইরের এই হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হয়ে যেতে পারে। এজন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,প্রয়োজনে সংক্ষিপ্ত সার্কুলারের মাধ্যমে সেই অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা দরকার।
সূএমতে নানা কারণে বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং খাত কঠিন সংকট অতিক্রম করছে।এর মধ্যে অন্যতম হলো আস্থার সংকট,যার কারণে আমানতকারীরা ব্যাংক থেকে তাদের আমানত তুলে নিচ্ছেন। এছাড়া ঘন ঘন সরকারি চার্য কাটার ফলে আমানতকারীরা এখন প্রায় নিরাসায় বুখছে,ফলে ব্যাংকগুলোয় নগদ অর্থের সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংকে টাকা ফিরিয়ে আনতে স্থায়ী সঞ্চয় এফডিআরের সুদের হার বাড়ানোরও পরামর্শ দিয়েছেনন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন সুদের হার বাড়ানো হলে একদিকে যেমন মধ্যবিওরা আমানতে উৎসাহিত হবেন,অন্যদিকে বিওশালীরাও ব্যাংকে টাকা রাখবেন। এ ছাড়া সংক্ষিপ্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিওশালীদের হাতে থাকা নগদ অর্থ ব্যাংকে জমা দেওয়ার নির্দেশনা জারি করা যেতে পারে।
অন্যথায় সময়সীমার পর এক হাজার টাকার নোট বাতিল ঘোষনা করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। অবশ্য সম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ব্যাংক তাদের বিভিন্ন স্কিমে আমানতের সুদের হার বাড়িয়েছে। কয়েকটি ব্যাংক ইতিমধ্যে আমানতের সুদের হার বাড়ানোর ঘোষনা দিয়েছে। অন্যদিকে ঋণের সুদের হারও বাড়ানো হয়েছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংক ইসলামপুর শাখার ম্যানেজার মোঃ মনিরুজ্জমান নিউজ ঢাকা ২৪ কে জানায় আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী নিজ দেশের তাগিদে দেশে কিছু মুলধন সঞ্চয় করেছেন। যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন,বড় বড় শিল্প প্রতিস্টান এছাড়া সাথে পদ্মা সেতু প্রকল্প সাথে আরও ব্রীজ ও রয়েছে। এইসব কারনে বাংলাদেশ ব্যাংক এর জমা কৃত টাকা ব্যয় হওয়াতে দেশে অন্য সব ব্যাংক গুলোর সঞ্চয় এর ঘাটতি দেখা দেয় ও ব্যাংক ইন্টারেস্ট এর পরিমান কমে নিচে এসে পরে,কিন্তু এই ঘাটতি গুলোর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সামনের আসন্য বাজেট কে লক্ষ্য করে সরকার ব্যাংকিং খাতে পরিবর্তন এর আশ্বাস দিয়ে এখন আবার ব্যাংক গুলোর ইন্টারেস্ট বাড়িয়ে দেওয়ার অনুমতি দেন। যার ফলে আমরা আশা করি মাস কয়েক এর মধ্যেই আমরা পূর্বে যে ঘাটতির পরিমান রয়েছে তা থেকে কিছুটা রেহাই পাবো।
এছাড়া ১০০০ হাজার টাকা নোট বাতিল করা হলে মানুষ তার অর্থ গুলো পুনোরায় ব্যাংকে জমা দিবে যার ফলে ও আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
ওয়ালিদ হোসেন ফাহিম
নিউজ ঢাকা ২৪