ঢাকা মাওয়া মহাসড়ক এন ৮ ফোর লেনে উন্নীত করার কাজে বানানো ডাইভার্সন সড়কের বেহাল দশা ও ধুলায় নাকাল কেরানীগঞ্জের রাস্তা ও পথচারীদের।
আব্দুল্লাহপুর বাস ষ্ট্যান্ড থেকে লেগুনায় চড়া ১৮/২০ বছরের এক জন যুবক নয়াবাজার / পোস্তগোলা যেতে যেতেই ৭০/৮০ বছরের বৃদ্ধের মত চুল সাদা হয়ে যায়। কালো জামার রঙ পালটে হয়ে যায় বিবর্ণ ধুসর। রাস্তার ঝাক্কি ঝামেলা যেমনি হোক ধুলা বালির যন্ত্রনা প্রকট রুপ ধারন করেছে। এতে শ্বাস কষ্ট,এলার্জি সহ ফুসফুসের প্রদাহের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
৫ বছরের শিশুপুত্র কোলে নিয়ে লেগুনায় চড়ে মিটফোর্ড হাসপাতাল যাচ্ছিলেন মা আয়েশা বেগম। ওড়না দিয়ে সাধ্যানুযায়ী নাক মুখ ঢেকে ধুলা থেকে বাঁচার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ধুলা বালির কারনে আমাদের এই যন্ত্রণা। নিজেরা নাক মুখ ঢেকে রাখলেও বাচ্চাকে ঢেকে রাখতে পারছিনা। সব ধুলা বালি বাচ্চার নাকে মুখে ঢুকছে।
আশে পাশের বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী ও নতুন রাস্তা থেকে কদমতলী চলাচলকারী পথচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তেঘরিয়া নতুন রাস্তার ডাইভারসন থেকে শুরু করে নয়াবাজার ব্রীজের শুরু পর্যন্ত ধুলা সবচেয়ে বেশি। তারা বলেন, ফ্লাইওভার ও ওয়াসার পাইপ স্থাপনের কাজ একসাথে চলায় ধুলার কারনে এই রাস্তার কয়েক গজ দুরের পথের কোন কিছুই দেখা যায় না। প্রতিদিন এসব সমস্যা নিয়ে লক্ষাধিক মানুষ এই পথে যাতায়াত করছে। একজন বলছিলেন নিয়মিত রুটিন করে পানি ছিটালে ধুলার যন্ত্রণা থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যেত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, আমরা পানি ছিটাচ্ছি কিন্তু শুস্ক মৌসুম হওয়ায় ও গাড়ি চলাচল করায় তা দ্রুত শুকিয়ে গিয়ে আবার ধুলা বালির পরিমান বেড়ে যায়। প্রকল্পের কাজ চলাকালীন সময় প্রকল্প এলাকায় জনদুর্ভোগ কমাতে তাদের টিম সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করছে। তিনি এই বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার আশা প্রকাশ করেন।
মোহাম্মদ উল্লাহ মাহমুদ।
নিউজ ঢাকা ২৪