কক্সবাজার পেকুয়ায় সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রুজু করা হয়েছে। উক্ত সাংবাদিকের নাম গিয়াস উদ্দিন বলে জানা যায়।
১ মার্চ চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ও গত ৫ মার্চ পেকুয়া থানায় চাঁদাবাজি, ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করে মানহানি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে এসব জিডি করেন পেকুয়া চাইল্ড কেয়ার কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলম।
সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন দাবীগুলো ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
শিক্ষক ইউনুস আলম জিডিতে উল্লেখ করেন, সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের নুরুল আলমের ছেলে। তিনি মিথ্যা মানহানির হুমকি দিয়ে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি আমার স্কুলে এসে তিনি একটি বানোয়াট বিষয়ে জানতে চান।
এ সময় তিনি উক্ত বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের হুমকি দিয়ে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি তার দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় আমার নামে একটি ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে আমি ওই সংবাদের প্রতিবাদ জ্ঞাপন করি। এতে তিনি অধিকতর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যাসহ বিভিন্ন ভাবে মানহানির হুমকি অব্যাহত রাখে। এতে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি এবং আদালতের শরণাপন্ন হই। কিন্তু এতে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চরম ক্ষতি করতে উঠেপড়ে লাগায় আমি থানায় আরো একটি জিডি করি।
এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাংবাদিক মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জের ধরে ইউনুস আলম আমার নামে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন। যেসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। আমি সংবাদকর্মী। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন আমার দায়িত্ব। নিজের অপকর্ম ফাঁস হলে সংক্ষুব্দ ব্যক্তি এসব অভিযোগ তুলেই থাকেন, এটি সবাই কমবেশি জানে। আমিও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।
সুত্র: জাগো নিউজ