ভারতকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে রাজি সবাই

ভারতকে ছাড়াই আগামী জুন মাসে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে রাজি সব দল। প্রসঙ্গত জুন মাসে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আইসিসির নতুন পরিচালনা কাঠামো পাশ হবায় বিপাকে পড়েছে ভারত। হয়তো না ও খেলতে পারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এ জন্য তারা এখনো নির্ধারিতো সময় পার হয়ে গেলেও দল ঘোষনা করে নি।

ভারত যদি না খেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তা হলে চেম্পিয়ন ট্রফির আসল মজা পাওয়া যাবে না।আমেজ হারিয়ে ফেলবে টুর্ণামেন্টটি তা বলার বাকি রাখে না।আগামী ৭ মে জানা যাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেটের ৩ মোড়লের এক মোড়ল দেশ টি।তবে ভারত না খেললেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজন করবে আই সি সি ।আর এতে অংশগ্রহন করবে বাকি সব দেশ গুলো, জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি শাহরিয়ার খান।

ডন পত্রিকার এক সাক্ষাতকারে শাহরিয়ার খান বলেন, আইসিসির বোর্ড সভায় ভোটাভুটিতে বড়ো ব্যাবধানে হারার পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়ার ইঙ্গিত দেয় ভারত।একটি বিষয় আমি স্পষ্ট করে বলি, ভারত যদি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি না ও খেলে ভারতকে ছাড়াই অংশগ্রহন করবে বাকি সব দল গুলো।

আর যদি ভারত না খেলে অন্য কোন দেশকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে যুক্ত করতে পারে আই সি সি।সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও হতে পারে।শাহরিয়ার খান আরো বলেন, ভারতের অংশগ্রহন করা না করার উপর আইসিসির আয় অনেক নির্ভরশীল।

ভারত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিলে অনেক ক্ষতির মুখে পরতে হবে আই সি সি কে।তবুও আই সি সি র সমস্ত দেশ খেলতে প্রস্তুত আছে।

ভারতীয় গনমাধ্যম স্পোর্টসকিডা এক পরিসংখ্যান দেখিয়ে বলেছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ভারত নিজেদের নাম কেটে নিলে কাঙ্খিত আয়ের অর্ধেকটাও ও করতে পারবে না আই সি সি।

কারন আই সি সি ইভেন্ট গুলোতে ভারতের সফলতার উপর আই সি সির আয় অনেকটা নির্ভরশীল

২০০৭ ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপ যার প্রমান। ২০০৭ এর বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডে ভারত বাদ পরে যায় সে বছর আই সিসির অনেক ক্ষতির সম্মুখিন হয়।২০১১ তে ভারত ফাইনাল খেলায় ২০০৭ ্ এর ক্ষতি পুষিয়ে নেয় আই সি সি।এখন দেখার অপেক্ষা ৭ তারিখ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বেপারে কি সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।