দলীয় কোন্দাল, কমিটি পাওয়া, প্রভাব বিস্তার কে কেন্দ্র করে দ্বন্দ ও সংঘাতে প্রতিনয়ত জড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যদিও কেন্দ্রীয় নেতাদের দাবী দলের ভিতর কারো মধ্যে কোন দ্বন্দ নেই।
এ বিষয়ে দলটির সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন , আওয়ামী লীগ একটি বড়ো দল, এখানে মত বিরোধ থাকতেই পারে। এটাই স্বাভাবিক। এটা দ্বন্দ নয়।
এ ছাড়া ২১ জানুয়ারি রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতির দলীয় কার্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো দলের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ঘেরাও করেছেন উপ- কমিটিতে পদ প্রত্যাশীত সাবেক ছাত্রনেতারা। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ওবায়দুল কাদের কার্যালয়ে ঢোকার সময় গাড়ি থেকে নামলে ছাত্রনেতারা কাদেরকে ঘেরাও করেন।
ঘেড়াওয়ের সময় নেতারা দুর্দিনের কান্ডারীদের আওয়ামীলীগের উপ-কমিটিতে জায়গা দেয়ার দাবী জানান। এসময় তারা স্লোগান দিতে থাকে। প্রায় ১০ মিনিট যাবৎ চলে স্লোগান। এরপরে সমবেতদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, হতাশ হওয়ার কিছুই নাই তোমাদের।যারা দুর্দিনে অবদান রেখেছে তারা কেউ দল থেকে বাদ পড়বে না। সবাইকে মূল্যায়ন করা হবে।
ওবায়দুলের এ বক্তব্যের পর ছাত্রনেতারা সরে যান। এর আগের দিন সন্ধ্যায় ও উপ কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতাদের তোপেড় মুখে পরে ১ ঘণ্টা কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকেন কাদের। তবে তিনি এই ঘটনাকে অবরুদ্ধ বা তোপের মুখে বলতে নারাজ।
এদিকে ঢাকা সিটি মেয়র সাঈদ খোকন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের বিবাদ অনেক পুরানো। সাঈদ খোকনের বাবার ১১তম মৃত্যু বার্ষীকির অনুষ্ঠানে দুজনকে এক মঞ্চে এনে সমাধান করলেও এ বিবাদ এখোনো বহাল আছে। গেল ১১ই নভেম্বর দু পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ফরিদপুরে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার মোশারফের দ্বন্দ বহুদিনের। তবে এই দুই প্রভাবশালী নেতার দ্বন্দ্বের বিষয়ে কাউকে কথা বলতে দেখা যায়নি।
নাটোরেও সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের দ্বন্দ রয়েছে।
কুমিল্লায় আওয়ামী নেতাদের মধ্যে অন্ত কোন্দাল দীর্ঘদিনের । বিশেষ করে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল খান ও সংসদ সদস্য আকম বাহাউদ্দিন বাহারের দ্বন্দ জেলা আওয়ামী লীগকে দুই ভাগে ভাগ করে দিয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে পক্ষে বিপক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। যদিও দলের নেতারা বহুবার এই কোন্দাল সমাধানের চেষ্টা করেছেন।
ঢাকা ৩ আসনে খাদ্যমন্ত্রী এ্যাড: কামরুল ইসলামের সাথে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের দ্বন্দ অনেকটা প্রকাশ্যেই রুপ পেয়েছে। জানা গেছে শাহীন আহমেদের সমর্থকদেরকে নানা ভাবে হেয় প্রতিপন্য ও অত্যাচার করছে কামরুল ইসলামের লোকজন। সুযোগ পেলেই কামরুল ইসলামের লোকজন ঝামেলা সৃষ্টি করছে বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন : খালেদা দিল্লীতে যোগাযোগে মড়িয়া।