মুহাম্মদ রায়হান আদনান রামগড়,খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় পৌরসভার বল্টুরাম সীমান্ত এলাকা থেকে ১৪টি ভারতীয় গরু(৭টি গাভী এবং ৭টি বাছুর) উদ্ধার করেছে রামগড় ৪৩ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ ঠান্ডু মিয়ার নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগড় পৌরসভার বল্টুরাম এলাকার হক টিলা নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৪টি ভারতীয় গরু আটক করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ ঠান্ডু মিয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গরু গুলোকে উদ্ধার করি।আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানকারীরা গরু গুলোকে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে গরু গুলোকে উদ্ধার করে রামগড় বিজিবির সদর দপ্তরে নেয়া হয়েছে এবং রামগড় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগড় উপজেলার বল্টুরাম,কাশিবাড়ী ও ফেনীর কুল সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার বিভিন্ন স্থানের ফাঁক ফোকর ব্যবহার করে চোরাকারবারিরা বিএসএফ ও বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আনছে গরু,শাড়ি,বিভিন্ন গাড়ির যন্ত্রাংশ ও মাদকদ্রব্য। স্থানীয় বাজার এবং চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে বেচাকেনাও হচ্ছে ভারতীয় গরু, শাড়ি এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ । মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে গোপনে। এসব চোরাকারবারীর আধিপত্য নিয়ে তাদের মধ্যেও রয়েছে অন্ত:দ্বন্দ্ব। এর মধ্যে শাড়ি এবং গরু চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র। স্থানীয়রা কেউ তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারে না বলে জানান অনেকে।
স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী জানান, চোরাকারবারীরা হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে টাকা পাঠিয়ে এদেশে আনছে মাদকদ্রব্য শাড়ি,গরু এবং গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। তবুও থেমে নেই ভারত থেকে চোরাইপথে অবৈধ ব্যবসা।
স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় অবাধে মাদকদ্রব্য এবং গরু চোলাচালানের এই রমরমা ব্যবসা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। এলাকার সাধারন মানুষজন এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।