খুলনায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার মামলায় নারী সাংবাদিক ইশরাত জাহান ইভাকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
তিনি স্থানীয় ‘খুলনার কণ্ঠ’ অনলাইন পত্রিকার প্রকাশক। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উৎকোচ দাবি করেন, তাছাড়া যথাযথ তদন্ত ছাড়াই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ করেছেন ইশরাত জাহান।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় বড় ধরনের আর্থিক লেনদেন হয়েছে। আর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাড়াহুড়ো করে তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা রেঞ্জে বদলি হয়েছেন। জানা যায়, ২০১৭ সালের ৫, ৭ ও ২৪ জানুয়ারি ‘খুলনার কণ্ঠ’ অনলাইন পোর্টালে তিন পর্বের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খালিশপুর এলাকার মো. তকদির হোসেন বাবু খালিশপুর থানায় সাংবাদিক ইভার বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন।একই ঘটনায় ইভার বিরুদ্ধে মামলার ছয় মাস পর একই থানায় আরেকটি সাধারণ ডায়রি করা হয়।
পরে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় এসআই আবুল হাসানকে। তিনি আমাদের অন্ধকারে রেখে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এমনকি আমাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি। জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এতে ইভার বিরুদ্ধে হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে। এরপর ৩০ ডিসেম্বর রাতে খুলনা রেঞ্জে বদলি হয় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল হাসান।
তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আবুল হাসান জানান, নিয়ম মেনেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। আর খুলনা রেঞ্জে বদলি হওয়ার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই ।
সুত্র: বিজয় নিউজ।