এম হামিদুর রহমান লিমন, রংপুর প্রতিনিধিঃ গরিব দুঃখীদের বিপদের বন্ধু, মেহনতী মানুষের ভালোবাসা, সৎ, নির্ভীক ও নিষ্ঠাবান একজন যোদ্ধা চান মিয়া। মানুষের বিপদে নেতাজি সুভাষ, গান্ধীজী এরূপে পাশে দাঁড়ান তিনি। তিনি অন্যের বিপদে আপদে নিজেকে সব সময় বিলিয়ে দেন। তিনি ছোট বেলা থেকেই প্রতিবেশীদের সহায্য সহ বিপদে আপদে পাশে থাকতেন বলে জানান এলাকাবাসীরা। কখন তার থেকে কেউ কোন কিছু চেয়ে না পেয়ে ফেরত গেছে এমনটা কখন হয়নি বলে দাবী করেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, রংপুর জেলার সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের ফাজিল খাঁ গ্রামে ২২ শে আগষ্ট ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি ৫ ভাই ও ৮ বোনের মধ্যে সবার বড়। তিনি ছোট থেকেই বাবা আলহাজ্জ আবু তালেব মিয়ার কাছাকাছি তাকতেন। বাবা আলহাজ্জ আবু তালেব ছিলেন দেশ দরদি, সৎ, নির্ভিক নেতা। তিনি বাবার কাছাকাছি ছিলেন সব সময়। তিনি বাবার কাছাকাছি থেকেই বাবার রাজনীতিক কলা কৌশল জ্বদ করে নিয়ে ছিলেন অল্প বয়সেই। তিনি ২০০০ সালে ১নং পালিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর সহ- সভাপতি নির্বাচনেরর মধ্য দিয়েই রাজনীতিতে নিজের অভিশেখ ঘটনান। এর পর ২০০৩ সালে পালিচড়া এম এন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যাবস্থা উন্নত করণের কারনেই ২০১৬ সাল পযর্ন্ত বিদ্যালয়টের ম্যানেজিং কমিটিতে বার বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার সভাপতির দায়ীত্ব কালে বিদ্যালয়টি একাধীক বার রাজশাহী ও দিনাজপুর শিক্ষা বোডের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে ছিল।যেহেতু তার পিতা আলহাজ্জ আবু তালেব মিয়া সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের জাতীয় পার্টি শাখার সভাপতি ছিলেন। আর বড় ছেলে হিসাবে বাবার পাশাপাশি থাকতেন সেই সুবাদেই বাবার হাদ ধরে ২০১৩ সালে জাতীয় পার্টিতে অবিশেখ ঘটে তার। বাবা আলহাজ্জ আবু তালেব মিয়া ২০১৬ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি ব্রান্ট ষ্টক জনিত কারণে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ( রমেক) এর আইসিইউতে মৃত্যুবরণ করেন। বাবার মৃত্যর পর জাতীয় পার্টির তুণমূল নেতাদের সর্মথণে বাবার শূর্ণ্য স্থান পূরণ করেন। তিনি বর্তমানে সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পদক হিসাবে রয়েছেন।
মোঃ চান মিয়া বলেন, আমি দেখেছি খুব কাছ থেকে আমার বাবা মরহুম আবু তালেব মিয়া কি ভাবে মানুষের বিপদে আপদে পাশে থেকেছেন। মানুষের দুঃখে কতটা নিজেই ব্যাতিত হয়েছেন। কি ভাবে মানুষের কষ্টগুলোকে নিজের করে নিয়েছেন। আমার বাবা প্রায় সাড়ে ১৩ বছর মেম্বারি করেছেন। আজ আমার বাবা নেই, না ফেরার দেশে চলে গেছে। তাই আমিও আমার বাবার অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করার জন্য আমি বাবার আর্দশের সৈনিক হয়েই কাজ করতে চাই বা করছি। আমি আমার বাবার মত মানুষের পাশে থাকতে চাই সেবা করতে চাই। আমি শুধু আমার বাবা নয়, আমি আমাদের প্রাণ প্রিয় নেতা মরহুম হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর অর্দশকে বুকে ধারণ করে চলি বলে দাবী করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমি দলকে ভালবাসি। আমি দলকে ভালবেসে ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৬ ঘন্টা কারাবন্দী হয়েছিলাম। আমি তাও ভয় পাইনা। আমি দলকে ভালবেসে হাসিমুখে ফাসির দড়ি ফুলে মালা মনে করে বরণ করব বলে তিনি দাবী করেন। আমি অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে চাই। আমি অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই। আমি আমার এই ক্ষুদ্র জীবনকে বিলিয়ে দিতে চাই অসহায় মানুষের জন্য, দুখি মানুষের জন্য,অবহিত মানুষের জন্য। আমি তাদের জন্যই কাজ করব যতদিন বাচব।