কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): কেরানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন
শুভাঢ্যা উত্তর পাড়া এলাকার বায়তুল মামুর পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ
সম্পাদক হাজী মোঃ রবিন। পেশায় ফল ব্যবসায়ী এই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
তার কারণে সংসার ভেঙেছে একটি পরিবারের। কিন্তু বিত্তবান ও ক্ষমতাবান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনি বা অন্য কোন ব্যবস্থা নেয়ার সাহস হয়নি কারও।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবলীগের স্বঘোষিত সদস্য পরিচয় দিয়ে সে এ ধরণের অপকর্ম ধামচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি সে বাদামতলী ফল ব্যবসায়ী সমিতির কার্যকরী সদস্যপদে নির্বাচন করতে গিয়ে নিজেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবলীগের সদস্য পরিচয় দিয়ে ব্যানার ফ্যাস্টুন করেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে একই এলাকার জনৈক রুবেল নামের এক ব্যাক্তির স্ত্রী তানিয়াকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে নিয়ে যায় রবিন। পরে সে বিষয়টি রুবেল জেনে ফেললে তাদের সংসার ভেঙে যায়। এরপর রবিনও আর ঐ মেয়েকে মেনে নেয়নি।
এবিষয়ে ভুক্তোভোগী রুবেল জানায়, রবিন একজন লম্পট লোক। সে অনেক নারীর সম্মান নষ্ট করেছে। তার কারণে আমার এবং আমার স্ত্রী তানিয়ার সংসার ভেঙেছে। এরপর থেকে তানিয়ারও কোন হদিস নেই। আমার বিশ্বাস
তানিয়া রবিনের হেফাজতেই রয়েছে। আমি এব্যাপারে বিচার চাইতে গেলে সে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।
সম্প্রতি একই এলাকার বাসিন্দা ওবায়দুলের (ছদ্মনাম) স্ত্রীকেও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে রবিন। এখন এবিষয় নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানায়, রবিন আমাকে বিয়ে করবে বলে আমার সাথে মেলামেশা করেছে। এখন সে আমাকে অস্বিকার করে।
আমাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে সব মিমাংসা করে ফেলতে চায়। আমার কাছে কোন প্রমাণ নাই তাই আমি কোন ব্যবস্থাও নিতে পারছি না।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রবিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে লাইনটি কেটে দেয়।
তার যুবলীগ পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহীন বলেন, সে যুবলীগের কেউ নয়।
বায়তুল মামুর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হাজী আফতাব উদ্দিন বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।