পুলিশ মানেই সেবা এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে কেরানীগঞ্জের অর্ন্তগত ৭টি ইউনিয়নের জনসাধারনকে সর্বদা আইনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা। আর কাজী মাইনুল ইসলাম পিপিএম কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসাবে যোগদানের পরে মডেল থানায় আইনের সেবা যেন আরো বেগবান হয়েছে। গত ৪ জানুয়ারী ২০১৯ কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসাবে যোগদানের পরে ১ বছর অতিবাহীত হয়ে গেছে।
১ বছর পূর্তিতে নিউজ ঢাকার সাথে আলাপ চারিতায় কাজী মাইনুল ইসলাম তুলে ধরেন গত বছরের নানা ঘটনা।

কাজী মাইনুল ইসলাম পিপিএম জানান, বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেকটি ইউনিটের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের ৬৫০টি থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা সর্বদাই জনগনের সেবায় জনগনের প্রত্যাশা মিটাতে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ পুলিশের সর্বদাই রয়েছে এক বীরত্বময় ত্যাগের ইতিহাস। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ সর্বপ্রথম পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই হানাদারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো। ২০২০ সালেও করোনা কালীন পরিস্থিতিতে দেশের ক্রান্তিকালীন অবস্থায় পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য নিজেদের সর্বদা বিলিয়ে দিয়েছে। করোনা রোগীদের যখন কেউ সেবা দিতে বা ধরতে চাচ্ছিলো না। করোনায় আক্রান্ত হলে ছেলে তার বাবা মাকে ধরতে ভয় পাচ্ছিলো। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে পরিবারের সদস্যরা শেষ বাড়ের জন্য লাশ দেখতে আসছিলো না, এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। অসুস্থ করোনা রোগীকে হাসপাতালে নেয়া, খাদ্য সরবরাহ, মৃত ব্যাক্তিদের দাফন পর্যন্ত জীবনের ঝুকি নিয়ে ছিলো পুলিশের অংশগ্রহন।

তিনি আরো বলেন, করোনা কালীন পরিস্থিতে জনগনের সেবায় একবিন্দুও পিছিয়ে ছিলো না কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) নির্দেশনায় ডিআইজি মো: হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার), ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদারের বিপিএম,পিপিএম সার্বিক তত্বাবধানে জনগনের সেবায় নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছিলো মডেল থানা পুলিশের সকল সদস্যগন। বিভিন্ন মানবিক কাজ করতে গিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ৭১ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়। তবে সকলের দোয়া ভালোবাসায় ৭১ জন সদস্যই সুস্থ হয়ে কাজে ফিরে আসে। ৭১ জন সদস্য বিভিন্ন সময় করোনায় আক্রান্ত হলেও মডেল থানা পুলিশের কাজ এক সেকেন্ডের জন্যো থেমে থাকে নি। কেউ সেবার জন্য থানায় এসে হতাশ হয়ে ফিরে যায় নি।
শুধু তাই নাই প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও থানা পুলিশের পদক্ষেপে থানা দালাল মুক্ত হয়েছে। ভূমি দস্যুদের নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়েছে। আগত দর্শনার্থীদের আইনের সেবায় আধুনিক সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। থানা পুলিশের প্রতিটি সদস্যের কঠোর পরিশ্রমে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। চুরি ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা আগের চেয়ে অনেক কমেছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে যোগদানের ১ বছর পূর্তিতে কাজী মাইনুল ইসলাম পিপিএম আরো বলেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন এলাকায় আইনের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলাম। গত এক বছরে আমাকে এবং আমার টিমের সকল সদস্যকে সহযোগীতা করার জন্য কেরানীগঞ্জ মডেল থানাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সামনের সময়গুলোতেও আমি মডেল থানার জনগন, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকবৃন্দ সহ সংশ্লিষ্ট সকলনে নিয়ে মডেল থানার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করতে চাই। সকলের দোয়া ভালোবাসা ও সহযোগীতা চাই।