সমাজের এক শ্রেনীর দরিদ্র মানুষ অভাবের তাড়নায় ভিক্ষাবৃত্তি করলেও ভিক্ষুক নন অথচ ভিক্ষা করেন এমন উচ্চমার্গীয় কিছু পেশাদার মানুষ বাস করেন এই সমাজে।
বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রায়ই তুলে ধরতে দেখা যায় যে, সন্মানজনক পেশায় নিয়োজিত ডাক্তার, আইনজীবি, পুলিশ এমনকি সাংবাদিকদের অনৈতিক ঘুষ,উৎকোচ গ্রহনের চিত্র। সাধারন মানুষ যেটাকে ভিক্ষাগ্রহন বলে ব্যাঙ্গ করেন।
বিভিন্ন সভা-সেমিনারে দেখা যায়, এক ধরনের লোভী সাংবাদিকরা ভিক্ষুকের ন্যায় হাত পাতেন নিউজ করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে, অপরাধ বিজ্ঞানের ভাষায় নিয়মানুযায়ী নৈতিক কিছু করার জন্যে অনৈতিক সুবিধা গ্রহন অন্যায়। তাই ন্যায়বান সাংবাদিক মহল এমন চিত্র প্রত্যাশা করেনা।
জনগনের বন্ধু হিসেবে বিপন্ন জনতার প্রয়োজনে পাশে এসে দাঁড়ানো পুলিশের নৈতিক কর্তব্য হলেও গুটি কয়েক পুলিশ তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে প্রায়ই সাধারন জনতাকে জিম্মি করে অর্থ গ্রহনের চেষ্টা করে এবং সেই সাথে দেশ প্রেমিক পুলিশ বাহীনির বদনাম করে। যা ভিক্ষার চেয়েও নিকৃষ্ট বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।
উল্লিখিত পেশাজীবিরা ছাড়াও অর্থনৈতিক ভাবে সফল কিছু পেশা যেমন আইনজীবি, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ সহ সেচ্ছায় সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সমাজ সেবকের দায়িত্ব নেওয়া বিভিন্ন সমাজের সমাজপতিদেরকেও দেখা যায় সাধারন মানুষকে জিম্মি করে অনৈতিক অর্থ আত্মসাৎ করতে।
সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে নৈতিক এই অবক্ষয় একটি জাতিকে অসুস্থ করে তুলতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে, সমাজের স্বার্থেই এমন নীতি বর্জন করা উচিত।
নীতিবান মানুষদের এমন অনৈতিকতার উদাহারন জাতির উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে ম্লান করে তাই, নিজেদের কর্মকান্ডে লজ্জিত হয়ে অনৈতিক এমন কর্মকান্ড থেকে সকলেই নিজেকে মুক্ত করলে স্ব স্ব পেশায় একেকজন নায়কোচিত ভূমিকা রেখে ভবিষ্যত প্রজন্মের অহংকারে পরিনত হতে পারেন বলে মনে করেন সম্ভাবনাময় তরুনরা।
ভিক্ষা নয় কর্ম-সংস্থান, অসত্য নয় সত্যের জয় হোক। ভিক্ষুকমুক্ত একটি আধুনিক বাংলাদেশ এখন তারুন্যের শ্রেষ্ঠ দাবী।