ভুটান এ সড়ক পথে যেতে হলে প্রথমেই আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে ভারতের ট্রানজিট ভিসা নিতে হবে। মনে রাখতে হবে ভিসার মেয়াদ মাত্র ২ সপ্তাহ। তাই আপনি যেদিন যাবেন তার কম করে হলেও ১০ দিন আগে গুলশানে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে আবেদন করতে হবে।
প্রথমেই জেনে নেয়া যাক ভুটান যাবার জন্য ভারতের ট্রানজিট ভিসা জমায় কি কি লাগবে।
১) ফরম অনলাইনে পূরন করে তার প্রিন্ট কপি। ফর্ম পূরনের সময় ভিসা টাইপ ট্রানজিট দিবেন এবং পোর্ট সিলেক্ট করবেন বাই রোড চ্যাংরা বান্ধা/জয়গাও।
২) সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ২*২ ছবি ফর্মের সাথে লাগিয়ে দিতে হবে।
৩) জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে।
৪) চলবি বিদ্যুৎ বিল লাগবে।
৫) পেশাদারিত্বের কাগজপত্র লাগবে।
৬) ব্যাংক স্টেট মেন্ট অথবা ১৫০ ডলার এনড্রোসমেন্ট লাগবে।
৭) বর্তমানে ভুটানে হোটেল রিজার্ভেশনের কাগজ ও দেখতে চায় ভারতীয় এম্বাসী কতৃপক্ষ। তাই ভুটানে যে হোটেল বৃকিং দিয়েছেন তার কাগজপত্র ও জমা দিতে হবে।
৮) পাসপোর্টের ফটোকপি দিতে হবে। সাথে আগের ইন্ডিয়ান ভিসার ফটোকপি।
কীভাবে যাবেন:
প্রথমেই বুড়িমারি বর্ডারে সোজা চলে যাবেন ট্রানজিট ভিসা নিয়ে। এস আর, নাবিল, মানিক সহ কয়েকটি বাস ঢাকা থেকে ছাড়া হয়। ভাড়া নিবে ৮৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। এসব বাস ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় রাত ৮ টার মধ্যে। বুড়িমারি পৌছে যাবেন পরদিন সকালে অর্থাৎ ভোরে । মনে রাখবেন এপাশের বাংলাদেশ বর্ডারের নাম বুড়িমারি আর ওপাশের ভারতের বর্ডারের নাম চ্যাংড়াবান্ধা। সকাল ৯ টা পর্যন্ত বর্ডার খোলা অব্দি আপনাকে বসে থাকতে হবে।
ভারতীয় দালালরা চ্যাংড়াবান্ধায় আপনাকে জোর করবে ডলার অথবা টাকা ভাঙ্গানোর জন্য। কোন ভাবেই ওদের বুঝতে দিবেন না আপনার কাছে কত টাকা আছে। সামান্য ভাঙ্গিয়ে কোন মতে এখান থেকে কেটে যাবাই উত্তম কাজ। এবার যেতে হবে জয়গাও বর্ডারে চ্যাংড়াবান্ধা থেকে। চলে যেতে পারেন ট্যাক্সিতে করে। সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। খরচ পরবে ৪০০ রুপি মতো জনপ্রতি। দেড় থেকে দুই হাজার রুপির মতো রিসার্ভ করে যেতে পারেন ৩/৪ জন।
ইচ্ছা করলে বাসে ও যেতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে খরচা ও কম পরবে।
- ভ্যানে করে চ্যাংড়াবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে বাসস্ট্যান্ড যেতে সময় লাগবে ১০ মিনিট খরচ পরবে ১০ রুবি।
-
বাসস্ট্যান্ড থেকে ময়নাগুড়ি বাস যেতে সময় লাগবে ৩০ মিনিট খরচা পরবে ২০ রুপি।
-
ময়নাগুড়ি থেকে সোজা জয়গাঁও বাসে যেতে সময় লাগবে ৪ ঘন্টা খরচ পরবে ৭০ রুপি।
-
জয়গাঁও থেকে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পয়েন্ট টেম্পোতে ১৫ মিনিট লাগবে যেতে খরচ পরবে ২০ রুপি।
ইমিগ্রেশনের সকল কাজ সেরে আপনাকে পায়ে হেঁটেই ঢুকতে হবে ভুটান।
ফুন্টসোলিং। এটা হচ্ছে ভুটানের প্রবেশ পথ।
এপারে ভারত জয়গাঁও এর ওপারেই ভুটান ফুন্টসোলিং। ভুটান এখানেই আপনাকে অন অ্যারাইভাল ভিসা দেবে ।
নিশ্চিন্তে এবার ভুটান ঘোরার পালা। ইচ্ছা করলে সেদিন ফুন্টসোলিং থেকে যেতে পারেন। ভালো মানের হোটেল মিলবে কম খরচাতেই। দুই জনের এক রুম হোটেলের ভাড়া পরবে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা । খুব বেশি সময় না থাকলে সেদিন ই চলে যান থিম্পুতে।
বাসস্ট্যান্ড টা ঐ খানেই। বিকেল সাড়ে ৪টার নাগাদ শেষ বাস টা ছাড়ে । পারো কিংবা থিম্পু যেতে পারেন পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে । সময় লাগবে প্রায় ৬ ঘন্টা আর ভাড়া নিবে ২৫০ রুপী। তবে হাতে যদি সময় থাকে তাহলে নদীর পাশের সুন্দর শহর ফুন্টসোলিং ঘুরে দেখতে ভুলবেন না।
কম খরচে পারো অথবা থিম্পু যাবার জন্য বাসই এক মাত্র ভরসা।বাসে যেতে হলে আগের দিন টিকিট করে রাখুন। পারোতে থাকার জন্য খুবিই ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। পারোতে যদি যান তাহলে টাইগার্স নেস্ট ও পারো জং দেখতে ভুল করবেন না। পারো খুবই আরামদায়ক আর শান্ত একটি শহর।
প্রায় দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগবে পারো থেকে থিম্পু যেতে। থিম্পু মনেস্ট্রি, বুদ্ধ পয়েন্ট, , রাজার বাড়িসহ বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন জায়গা রয়েছে এখানে। থিম্পু ঘুরে দেখতে একটা দিনই এনাফ।
আপনি যদি ডিসেম্বরের দিকে ভুটান ভ্রমণের প্লানিং করেন তা হলে দোচালা পাস ও চেলালা পাস ঘুরে আসতে ভুলবেন না। ভাগ্য ভালো থাকলে এখানে পেয়ে যাবেন বরফ।ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বরফ পড়ে এখানে।
বুড়িমারি থেকে মূলত বাস ছাড়ে সন্ধ্যা ৬টায় ফেরার সময় তা মনে রাখতে হবে। তাই অবশ্যই ১২ টার মধ্যে ফুন্টসোলিং থেকে বের হবার চেষ্টা করবেন। আগের মতই সব ইমিগ্রেশন পয়েন্ট থেকে আপনার পাসপোর্টে এক্সিট সিল মারতে মারতে আসবেন একদম বুড়িমারি দিয়ে বের হবেন।
) ১৫ মিনিটে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পয়েন্ট থেকে জয়গাঁও বাসস্ট্যান্ড টেম্পোতে আসতে খরচা পরবে ১০ রুপি।
) জয়গাঁও থেকে ময়নাগুড়ি বাসট্যান্ড আসতে সময় লাগবে ৩ -৪ ঘন্টা খরচা পরবে ৭০ রুপি।
) ময়নাগুড়ি থেকে চ্যাংড়াবান্ধা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত লাগবে ৩০ মিনিট আর বাস ভাড়া পড়বে ১৫-২০ রুপি
) চ্যাংড়াবান্ধা বাসস্ট্যান্ড থেকে চ্যাংড়াবান্ধা জিরো পয়েন্ট ভ্যানে সেই ১০ মিনিটের পথে ১০ রুপি ই লাগবে।
যে বিষয় গুলো জেনে রাখবেন:
১. ভুটানের সড়কপথের সৌন্দর্য খুবি মনোমুগ্ধকর । তাই ফুন্টসোলিং থেকে পারো অথবা থিম্পু যেতে চাইলে আকাশের আলো থাকতে থাকতেই চলে যান।
২. চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডারে টাকা ভাঙাতে পারবেন। সঙ্গে ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও পাসপোর্টের ফটোকপি রাখবেন অবশ্যই।
৩. ট্রানজিট ভিসার ক্ষেত্রে ভারতে আসা যাওয়ার সময় প্রতিবার সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অবস্থান করার সুযোগ পাবেন । আর এ সুযোগে আপনি ইচ্ছা করলে জলপাইগুড়ি কিংবা দার্জিলিং হয়ে ১ দিন ঘুরে আসতে পারেন।
৪. হোটেলের জন্য প্রতিদিন ১ থেকে দেড় হাজার রুপি বাজেট করতে হবে।
৫. খাবার খরচা প্রতি বেলা ১০০ থেকে১৫০ রুপী। যদিও খাওয়া নিয়ে অনেকেরই কষ্ট হতে পারে।
৬. ভুটানে সব যায়গাতেই ভারতীয় রুপি চলে।
৭. ভুটানে সিগারেট খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ । রাস্তা ঘাট কিছু ফেলে নোংড়া করবেন না।
আরো পড়ুন : স্বর্নের বর্তমান দাম কতো ??
সুত্র: ইন্টারনেট।
dapoxetine cream https://salemeds24.wixsite.com/dapoxetine
tsc ivermectin https://ivermectin.mlsmalta.com/
vidalista sales on internet https://vidalista40mg.mlsmalta.com/
canadian generic priligy https://ddapoxetine.com/
does tadalafil lower blood pressure https://wisig.org/
online doctor to prescribe hydroxychloroquine https://hydroxychloroquinee.com/
hydroxychloroquine vs remdesivir cost https://hydroxychloroquine.mymvrc.org/
price for cialis at walmart https://cialis360.jueriy.com/