পবিত্র কাবা শরীফ এবং মসজিদে নববীতে ছবি তোলা নিষেধের প্রসঙ্গে অনেক আগে থেকেই ওলামা একরাম বলে আসছিলেন। পবিত্র হজ্জ এর সময় এই দুই স্থানে সেল্ফি তোলার প্রবনতা রীতি মতো ভয়াবহ আকার ধারন করেছিলো। এবার তার ই পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে।
সারা জাহানের অন্যতম পবিত্র স্থান মসজিদে নববীতে এক ইসরাইলি নাগরিকের ছবি তুলে তা টুইটারে প্রচারের পর পবিত্র কাবা ঘল এবং মসজিদে নববী এবং এর আশে পাশের স্থান গুলোতে পর্যটকদের ছবি তোলার উপর জারি করা হলো এই নিষেধাজ্ঞা।
ডেইলি সাবাহরতে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মসজিদে নববি এবং পবিত্র কাবাঘর এর পবিত্রতা রক্ষা এবং এর মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় ভিডিও ধারণের কারণে এবং ছবি তোলার কারনে মুসল্লীদের ইবাদত-বন্দেগিরতদের নানাবিধ সমস্যা হয়।
এখন থেকে কোন পর্যটক কাবাঘর ও মসজিদে নববি এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ সিদ্ধান্তের কারনে ছবি তুলতে পারবেন না।
গণমাধ্যম বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, কেউ যদি নতুন এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন কি নির্ধারিত এলাকায় কোনো প্রকার ক্যামেরা বা ছবি ও ভিডিও ধারণের যন্ত্র নিয়ে গেলে তা জব্দও করা হবে।
উল্লেখ্য, ইসলাম ধর্মের এবং মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবাঘর এবং মসজিদে নববী। এ দুই স্থানে মুসলমান ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের লোকদের প্রবেশ নিষেধ। কয়েকদিন আগে ইহুদি ব্লগার রাব্বি বিন তিসইউন ইরান, জর্ডান আর লেবানন হয়ে সৌদি আরবে যান। সেখানে গিয়ে তিনি মসজিদে নববিতে প্রবেশ করেন। মসজিদে নববির ভেতরে ছবি তুলে বিন তিসইউন তা টুইট করেন। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং সমালোচিত হয় । তার ই ধারাবাহিকতায় কতৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়।