তারকাদের ডিভোর্স লিষ্টে এবার নাম যোগ হলো কন্ঠ শিল্পী মিলার নাম। মাত্র ৫ মাসেই ভেঙে গেল তার সংসার। ১০ বছরের প্রেম ৫ মাসের সংসার তার পরে ডির্ভোস।
চলতি বছরের ১২ ই মে অনেকটা চুপিসারেই বিয়ে করেন মিলা। তার ১০ বছরের প্রেমকে বিয়েতে রুপ দেন তিনি। সম্পূর্ন পারিবারিক ভাবেই বিয়ে করেন তিনি।
কিন্তু বিয়ের পাচ মাসের মাথায় ই সংসার ভাঙছে তার। যার কারনে মিলা তার ফেসবুক পেজে তার ডির্ভোস নেয়ার কথা স্বীকার করেন।
তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন:
১০ বছর প্রেমের সর্ম্পকের পর আমরা বিয়ে করেছি। কিন্তু বিয়ের ১৩ দিন পর আমি জানতে পারি তার সাথে একাধিক মেয়ের সম্পর্ক আছে। সে আমার সাথে প্রতারনা করেছে।
এমন প্রতারকের সাথে আমি থাকতে পারবো না।যে নতুন বউ এর সাথে এমন প্রতারনা করে সে কাউকেই ডিজার্ভ করে না।
একজন শিল্পী বা সেলিব্রেটি হিসাবে নয় একজন সাধারন মানুষ হিসাবেও তো কোন ব্যাক্তি তার লাইফ পাটনারের সাথে এমন টা করে না।
এটিকে কোন ভাবেই আমি মানুষের কাজ হিসাবে মানতে পারছি না। কেউ মানতে পারবে ও না। পৃথিবীতে কোন নারীই তার স্বামীর সাথে অন্য নারীর সম্পর্ক মেনে নিবে না। আমি আমার কাজ ও সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা থেকে আমার জীবন চালিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ভক্তরা আমাকে যে পরিমান ভালোবাসে সেটাই আমার বড় অর্জন। অনেক বছর ধরে তারা আমাকে মনে রেখেছে।
১০ বছর প্রেমের সম্পর্ক থাকার পরে আমি তার প্রতারণা ধরতে পেরেছি। তার পরে ও আমি বিয়েটা বাচাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে এই সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছিলো না এবং প্রতিনিয়ত আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। ইউএস বাংলার কিছু এয়ার হোস্টেসের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। আমি এমডি মামুন সাহেব কে তা জানাই এবং সব কিছু খুলে বলি।
মামুন সাহেব আমার স্বামীকে সতর্ক করে দেন এবং এ ধরনের ঘৃন্য কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। এমডি আমাকে চুপ থাকতে বলেছিলেন। আমি তার কথা মতো চুপ ই ছিলাম কিন্তু কিছুই পরিবর্তন হয় নি।
আমার স্বামী যে আমার উপর মানসিক নির্যাতন করতো তা নয় শুধু, সে আমার উপর বিভিন্ন ভাবে শারীরিক নির্যাতন ও করতো।
শেষ পর্যন্ত উপায়ন্ত না দেখে আমি পরিবারের সাহায্য নিয়ে উত্তরায় থানায় গেলাম। সেখানে আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।