মাত্র তিন দিন পরে ঈদ। এরই মধ্যে রাজধানী সহো বিভিন্ন জায়গার হাটগুলিতে ভরে উঠেছে কোরবানির পশু দিয়ে। কিন্তু এখোনো জমে উঠেনি পশুর হাট গুলো।
গরুর বেপারীরা বলছে, ক্রেতা আসছে কম, আসলেও দেখছেন কিন্তু কিনছেন না। কয়েকজন দরদাম করলেও কেনার আগ্রহ নেই। ব্যবসায়ীরা ধারনা করছে আগামী কাল থেকে পশু কেনার জন্য হাটে যাবে ক্রেতারা। ফলে গরুর হাট গুলো জমে উঠবে।
আজ মঙ্গল বার রাজধানীর কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা গেছে , প্রচুর পশু আছে হাট গুলোতে, তবে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম।
গেল বছর নয়াবাজারে হাট না বসলেও এবার হাটের অনুমতি পেয়েছে আরমানী টোলা মাঠ ঘিরে নয়াবাজারের একাংশ।কিন্তু গরু থাকলে এই হাট ও ক্রেতা শূন্য।

মুন্সিগঞ্জের খাইরুল ইসলাম ২৫টা গরু নিয়ে নয়াবাজার হাটে এসেছেন গতকাল। এখন পর্যন্ত একটা গরুও বিক্রি করতে পারেন নি তিনি। তার দাবী মতে এক একটি গরু আশি হাজার টাকার নিচে বেচলে মেলা লস হবে তার। কিন্তু দুই এক জন যাও দাম বলছে, ৬০ হাজারের বেশি কেউ বলছে না। প্রতিদিন তার খরচ পরছে গরু প্রতি প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ী সামাদ , তিনি নয়া বাজার হাটের সব চেয়ে বড়ো গরুটির মালিক তিনি। গরুটির দাম চাচ্ছে ৮ লাখ। এখোন পর্যন্ত কেউ ই ৪ লাখের বেশি বলে নাই বললেন সামাদ।
এ বছর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতায় প্রায় ২৩ টি অস্থায়ী হাট বসেছে। অধিকাংশ হাট ই গরুতে ভরা। গরু বেশি হওয়ায় খূশি ইজারাদার রা। কিন্তু স্বস্থি নেই বিক্রেতাদের। বরং চিন্তা তাদের অনেক বেশি।
হাটগুলিতে ব্যাপারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এখোনো ভারতীয় গরু আসা শুরু হয় নি। অথচ এর ই মধ্যে হাট গুলো গরুতে ভরে গেছে। বর্তমানে হাটে যে সব গরু আসছে এগুলো মূলত পালিত গরু। । এ সব গরু লালন পালন করতে কৃষকদের বিপুল খরচ হয়েছে। খরচের অনুপাতে দাম না পেলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।
বেপারী এবং ইজারদাররা ধারনা করছেন আগামী কাল নাগাদ জমতে শুরু করবে হাট।
আরো পড়ুন: ৪০০ এর নিচে বেচমু না আমার গরু।