রাত ১১ টা। রাজধানীর কাওরান বাজারে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে কাঁদছেন এক সাংবাদিক। কান্নার কারন হলো আজ তার ৫ বছরের ছেলের জন্মদিন। ছেলে বাসায় বসে আছে বাবা তার জন্য কেক নিয়ে আসবে। কিন্তু গেল ৩ মাসে সে বাড়ি ভাড়াই দিতে পারছে না। বাসায় গেলেই বাড়ি আলার চাপ। এক দিকে বাসা ভাড়া আরেক দিকে ছেলের বায়না, কি করবে সে বুঝতে পারছে না। গেল ছয় মাসে অফিস থেকে কোন বেতন ই পাননি তিনি।ছেলের জন্মদিন অথচ পকেটে একটা টাকা এ নাই ভাবতেই চোখে আসছে জলে।এভাবেই চলছে সাংবাদিকদের কষ্টের দিন।
ঘটনাটি কোন ফিল্ম বা নাটকের কাহিনী নয়। এটি একটি সংবাদমাধ্যমের বার্তা সম্পাদকের জীবনে ঘটে যাওয়া চিত্র। এ ধরনের ঘটনা অনেক সাংবাদিকদের জীবনেই ঘটেছে।
সাংবাদিক জিনান মাহমুদের এর চেয়েও ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা আছে। তিনি জানান, একবার তিন মাস ধরে অফিস থেকে কোন বেতন পাচ্ছিলাম না। সম্পাদক ও মালিক কর্মীদের চাপের মুখে ঈদের আগে বেতন দিতে সম্মত হয়েছিলেন। কিন্ত সম্পাদককে ঈদের ঠিক ২ দিন আগেই গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। গাড়ি ভাড়া না থাকাই ঈদে বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারেন নি তিনি।
পত্রিকা ছাড়া টেলিভিশনগুলোতেও একই চিত্র। স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলোর বিরুদ্ধে কমপ্লিন রয়েছে, সামান্য বেতনে নিয়োগের পরেও ঠিকমতো তারা তা পরিশোধ করে না।
দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত অনেক সাংবাদিকদের অনেকের জীবনের গল্পের সাথে মিল রয়েছে এসব গল্পের সাথে। সরকারের সঠিক নজরদারির অভাবেই সাধারনত এমন পরিস্থিতির সৃষ্ট হয়।
গনমাধ্যম বিশেষঞ্জরা বলেন, সংবাদকর্মীদের সাথে এমন অন্যায় বন্ধ না হলে যে পরিস্থিতির তৈরি হবে সেটা দেশের গোটা গনমাধ্যমের ওপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল সাংবাদিকতাকে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবে উল্লেখ করে সাংবাদিকদের ঠিকভাবে বেতন নিশ্চিত করা ও চাকরির নিশ্চয়তা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন ।
প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান এর মতে, সাংবাদিকদের বেতন নিশ্চিত করার না গেলে তা গোটা গণমাধ্যমের জন্যই খারাপ ফল বয়ে আনতে পারে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী মনে করেন, সাংবাদিকররা ঐক্যবদ্ধ হলেই এ অবস্থা থেকে উত্তরন ঘটানো সম্ভব।
অনেক ক্ষেত্রে ঠিক মতো বেতন না পাবার কারনে অনেক সাংবাদিক টাকা উপার্জনের জন্য একজনকে সুবিধা দেওয়ার জন্য সংবাদ করে, অথবা কারো কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ ও করে থাকে।
মফস্বলে সাংবাদিকরা কেমন আছেন?
ঢাকার চেয়ে মফস্বলের সাংবাদিকদের অবস্থা আরো ভয়াবহ। তারা বেতন তো ঠিক মতো পান ই না। অনেক টেলিভিশনেরই মফস্বল সাংবাদিকরা জেলার দায়িত্ব নিয়েছেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে।আর দৈনিক পত্রিকার মফস্বল সাংবাদিকদের অবস্থাও অনেক শোচনীয়। মফস্বল প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক সময় বেতন তো নির্ধারিত হয় ই না। চাকরীর ও কোন নিশ্চয়তা নেই। তারা ঠিক মতো বেতন ভাতা পান না। অনেক সময় সংবাদ প্রকাশের জন্য বার্তা সম্পাদক বা শিফট ইনচার্জকে বিকাশ/ ফেক্সিলোড করতে হয় এমন অভিযোগ ও আছে। আই কার্ড পাবার জন্য টাকা পয়সা তো আছেই।
এতো কষ্টের পরেও কেন সাংবাদিক হিসাবে আছেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে এক মফস্বল সাংবাদিক উত্তর দেন: সাংবাদিকতাকে যতোটা পেশা হিসাবে না নেই তার চেয়ে বেশি নেই নেশা হিসাবে। তাই শুধু মাত্র টাকার কারনে এই মহান পেশা কে ত্যাগ করতে পারি না।
আরো পড়ুন: জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ ঢাকা ২৪
তথ্য সুত্র: www.priyo.com/articles/deprived-journalists-20170812
Very shortly this web page will be famous among all blogging
users, due to it’s pleasant articles
You ought to take part in a contest for one of the greatest blogs on the web.
I am going to recommend this website!
I don’t even understand how I finished up here, however
I believed this post was great. I don’t recognize who
you might be but definitely you’re going to a
famous blogger for those who aren’t already. Cheers! adreamoftrains best web hosting 2020
Hello there! Do you use Twitter? I’d like to follow you if that would be ok.
I’m definitely enjoyikng your blog and look forward to new updates.
Feel free to surf to my web blog Sim