দেশ বদলাচ্ছে , সেই সাথে বদলাচ্ছে প্রতারনা এর কৌশল ও। শিশু ভাড়া নিয়ে অভিনব কায়দায় ভিক্ষাবৃত্তি করছে এক শ্রেনীর প্রতারক চক্র। তেমন ই একটা ঘটনার রহস্য উন্মোচন করলো নিউজ ঢাকা টিম এর স্পেশাল টিম।
গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর টিপু সুলতান রোডে দেখা মিললো এক শ্রেনীর প্রতারক চক্রের। দুই জন বোরকা পরা মহিলা কাধেঁ একটি ২ বছর এর বাচ্চা নিয়ে শুরু করে তাদের প্রতারনার ফাদ। তারা কাওকে বলছে: স্বামী হারা খাওয়ার টাকা নেই, কা্উকে বলছে পথ হারা বাড়ি যাওয়ার টাকা নেই, কাউকে আবার বলছে সকাল থেকে বাচ্চাটি ক্ষুধার্থ খাওয়ার টাকা নেই।
হঠাৎ করে দেখা গেলো একজন মহিলা তার ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন বের করে কথা বলছে। ঘটনাটি দেখার পর ই নিউজ ঢাকা ২৪ এর রিপোর্টাররা সন্দেহ করে তাদের।মহিলার পিছু নেয় তারা।
টিপু সুলতান রোড থেকে ওয়ারী-টিকাটুলি-গোপিবাগ তার পর শেষ স্থানে মানিকনগর ছয়তলা রোড রিকশা থেকে নেমে এক মুদি দোকান এ গিয়ে সে তার ব্যাগ থেকে সকল খাবার গুলো বিক্রি করে দিলো। তার পর তাদের টাকা গুলো ভাগ করে নিয়ে চলে গেলো একজন।
বাচ্চা কাধেঁ মহিলা কে একটি বাসায় প্রবেশ করতে গেলে আমরা তাকে কিছু প্রশ্ন করতে চাই। তখন সে আমাদের তারিয়ে দিয়ে যেতে লাগলে আশাপাশের মানুষ তাকে বাধা দেয়। তারপর সেই বাচ্চা কাধে মহিলার সাথে কথা বলে যানা গেলো তার নাম মিনা আক্তার সে এই বাসায় ভাড়া থাকে ।
সে প্রায় ১ বছর যাবত এই প্রতারনা ব্যবসার সাথে জরিত।কারন জানতে চাইলে সে বলে, তার স্বামী তাকে ছেড়ে বিদেশে চলে গিয়েছে এখন তাদের দেখা শুনার কেও নাই বলে সে এই কাজে জরিত। সে আরও জানায় তার সাথে এমন আরও অনেক মহিলা অাছে যারা নাকি প্রতিনিয়ত এই কাজ গুলা করে থাকে।
ওই বাসার ম্যানেজারের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই মহিলা এই বাসায় থাকে না, দীর্ঘ ৬ মাস যাবত এই বাসায় ৩ তলাই এক ঔষধ ব্যবসায়ী এই বাসায় থাকে।যাকে সে ভাই বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। প্রায় সময় সে এই বাসায় আশা যাওয়া করে থাকে। এবং ওই প্রতারক মহিলার কোন স্বামী নেই তাও সে আমাদের জানায়।
তার মানে এতক্ষন মিনা আক্তার যা কিছু বলেছে তা বেশির ভাগই মিথ্যা ছিল। কিছু দূর যাওয়ার পর মিনু নামের এক বয়স্ক মহিলা আমাদের ডেকে বললো বাবা তোমরা তাদের কে ধরতে পারবে না। তাকে কারন জিঞ্জেস করলে সে প্রথমে আমাদের বলতে না চাইলে ও পরে সে আমাদের জানায় যে তাদের সাথে এক বিশাল বড় চক্র রয়েছে।যাদের আন্ডারে প্রতিনিয়ত প্রায় ১০০-২০০ জন মহিলা কাজ করছে।
এদের সাথে ডাকাত দল,মলোম পাটি,ছিনতাইকারী দল ও কাজ করছে তারা সময় ও সুযোগ বুঝে তাদের ভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দলের লোকদের কে মাঠে নামিয়ে দেয়।।
আশেপাশের সাধারন মানুষের শুধু একটি প্রশ্ন যে আর কত দিন আমাদের এমন কঠিন পরিস্থিতির সম্মুক্ষীন হতে হবে কবে এই সমস্যা গুলোর সঠিক সমাধান বের হবে।।
ঘটনাটি বের করতে সানমুন আহমেদ ও ওয়ালীদ হোসেন ফাহিমের সাথে কাজ করেছে মো: নাদিম , কাজী আব্দুল্লাহ ও সায়েম হোসেন।