কেরানীগঞ্জের ভয়ংকর সন্ত্রাসী, এক ডজন হত্যা মামলাসহ অসংখ্য মামলার আসামী লেংড়া আমির পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত।
সোমবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ এলাকায় পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে আমির নিতহ হয়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে তারা যানান। আমিরের লাশ ময়না তদন্তের মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
২০১২ সালে আমির কেরানীগঞ্জের শুভাড্যা এলাকায় শিশু পরাগ কে অপহরন করে আলোচনায় চলে আসে। এর আগে ও অবশ্য তার বিরুদ্ধে কয়েকটি হত্যা মামলা হয়।
কেরানীগঞ্জের কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী এর মধ্য আমিরের হাতে গুলি বদ্ধ হয়েছে। আমিরকে কেরানীগঞ্জের ত্রাস হিসাবে অভিহিত করে আসছিলো কেরানীগঞ্জ বাসী।
চলতি বছর ২২ মার্চ কেরানীগঞ্জের চিকিৎসক দম্পতি আবু নোমান ও শাহানা নোমানের রিকশা থামিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চিঠি দেন ল্যাংড়া আমির। যাওয়ার সময় থ্রেট করে বলেন চাদা না দিলে পরের গুলিটি বুকে করা হবে। এরপর ভয়ে কেরানীগঞ্জ ছাড়েন ঐ দম্পতি।
গেল মে মাসে জিয়া নগর এলাকার ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের রিক্সা থামিয়ে তার পায়ে গুলি করেন আমির। এবং চাদা দাবী করেন।
সর্বশেষ গত মাসে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় ব্যবসায়ি শাহ আলমের বুকে গুলি করেন আমির।
আমিরের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে মিরকাদিম গ্রামে। দক্ষিন কেরানীগঞ্জের পশ্চিমপাড়া এলাকার জমির ব্যবসা করতো সে। এর পর হাসনাবাদ এলাকায় বসবাস শুরু করেন। সব সময় মটর সাইকেলে চলাচল করতেন তিনি। ঠিকমতো হাটতে না পারার কারনে এলাকাবাসী তাকে ল্যাংড়া আমির বলেই ডাকতো।
পরাগ অপহরনের ২ সপ্তাহ পরে টঙ্গীতে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে ধারনা করেছিলো তার নিহত হবার খবর মিডিয়াতেও জানানো হয়েছিলো। কিন্তু হাসপাতালে আনার পর বেচে ওঠেন আমির। গেল বছর আদালতে হাজিরা দিতে যাবার পথে পুলিশ কে বোকা বানিয়ে পালিয়ে যায় আমির।
এর পরই শুরু হয় তার কেরানীগঞ্জে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এমনকি সে পুলিশ কে ও থ্রেট করতে থাকে। আমিরের ভাষ্য ছিলো আগের বার বেচে গেছি। এবার মরলে পুলিশদের সাথে নিয়েই মরবো।
নিউজ ঢাকা ২৪ ডটকম।